নিউজ ডেস্ক: ‘সুবিচারের স্বার্থে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালানো দরকার জ্ঞানবাপী মসজিদে’। বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কমিটি। কিন্তু শুক্রবার হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। অবশেষে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর শুক্রবার সকাল থেকে মসজিদে সমীক্ষা শুরু করে আরকিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া(ASI)।
শনিবার সমীক্ষার দ্বিতীয় দিন। সকাল ৯টা থেকে সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে ASI’এর ৪৩ জন পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ। প্রথম পর্যায়ের কাজ চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সমীক্ষার প্রথম দিন অনুমতি থাকা সত্ত্বেও মসজিদ চত্ত্বরে দেখা যায়নি ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি’কে।
তবে এদিন সুপ্রিম রায়ের পর সমীক্ষার কাজে বাকিদের সঙ্গে দেখা যায় মুসলিম পক্ষকে। মসজিদ কমিটির আইনজীবী মুমতাজ আহমেদ জানান, এএসআই সমীক্ষা নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট। উল্লেখ্য, সমীক্ষার কাজ চলবে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সমীক্ষার কাজ হলে মসজিদের ক্ষতি হতে পারে বলে এলাহাবাদ হাইকোর্টে জানিয়েছিল মুসলিম পক্ষ। তবে শুক্রবার মামলার শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, হিন্দু মন্দিরের উপর ১৭ শতকের এই মসজিদ তৈরি কি না, তা প্রমাণের জন্যে কোনওরকম আক্রমাণাত্মক কাজ করা চলবে না।
শুধু তাই নয়, বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার জন্যে খনন কাজ করা যাবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। আর সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পরই সমীক্ষার কাজে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় মসজিদ কমিটি।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেস হিন্দু পক্ষের আবেদন মেনে জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার বাইরে এএসআই সমীক্ষার অনুমতি দিয়েছিলেন। জেলা আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় মসজিদ পক্ষ। গত ২৪ জুলাই জেলা আদালতের সেই রায়ের উপর ৪৮ ঘন্টার জন্যে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে, এই সময়সীমার মধ্যে এই বিষয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করারও নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে হিন্দু পক্ষের আবেদন মেনে এএসআই সমীক্ষার নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট।