নিউজ ডেস্ক: পুজোর আর বাকি মাত্র দুটো মাস। অনেকেরই পুজোর কেনাকাটা শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর কালেকশন এসে গিয়েছে এর মধ্যেই। খবরের কাগজের পাতায় এসে গিয়েছে নামিদামি বিপণির বিজ্ঞাপন। ভিড় এড়াতে অনেকেই আগে ভাগে কিনে রাখছেন জামা জুতো। পুজোর কটা দিন নিজেকে সুন্দর দেখনোর জন্য শুরু করে দিয়েছেন রূপচর্চা। এই বছরের নতুন হেয়ারস্টাইল কী হবে তা নিয়েও পরিকল্পনা করছেন অনেকেই। হয়তো কেউ চুল ছোটো করে ছেঁটে ফেলতে চাইছেন আবার কেউ প্রথম রং করবে চুলে। কিন্তু বুঝতে পারছেন না প্রথম বার চুল রং করলে কেমন করা উচিত বা রং করার পরে চুলের যত্ন কীভাবে নেবেন। রইলো প্রথমবার চুলে রং করার কয়েকটি হদিশ।
ব্লিচ
ভারতীয়দের চুলের ধাত অনেকটাই আলাদা। চুলের ঘনত্ব কম বেশি হলেও চুল সাধারণত বেশ পুরু হয়। মেলানিনের পরিমাণও বেশি থাকে। তাই লাইট শেডের কোনো রঙের জন্য ব্লিচ করা জরুরি। কিন্তু ব্লিচ করলে চুলের ক্ষতি হয় বেশি তাই যারা প্রথম চুলে রং করতে চলেছেন তাদের ডার্ক শেডের রং করাই ভালো। ব্লিচের দরকার পড়ে না এতে।
হেয়ার কালারের পদ্ধতি
চুলের রং মূলত তিন ধরনের পদ্ধতিতে করা হয়। হাইলাইটস, ওমব্রে ও গ্লোবাল হেয়ার কালার। স্বাভাবিক চুলের রঙের উপর কয়েকটি জায়গায় রং করলে তাকে হাইলাইটস বলে। অপর দিকে চুলের গোড়ার দিকে লাইট কালার থেকে ডগার দিক অবধি ধাপে ধাপে চুলের রং গাঢ় হলে তাকে ওমব্রে বলে। এটি বেশ জনপ্রিয়। চুলের স্বাভাবিক রং পুরোপুরি পাল্টে ফেলাকে গ্লোবাল হেয়ার কালার বলে। প্রথমবার রং করলে এই পদ্ধতিটি না করাই ভালো।
বালেয়াজ
প্রথমবার চুল রং করার ক্ষেত্রে বালেয়াজ পদ্ধতিটি বেশ ভালো। চুলের স্বাভাবিক রঙের চেয়ে কয়েকটি শেড লাইট কালার করা হয় এই পদ্ধতিতে। ফলে ব্লিচের দরকার পড়ে না। এই রং ধিরে ধিরে ফিকে হয়ে স্বাভাবিক রঙে ফেরত আসে। ব্লিচ করলে চুল যে সাদা রং হয়ে যায় এবং রং উঠে গিয়ে পাটের মতো লাগে এই রঙে তা হয় না। ফলে প্রথমবার রং করলে চুল ভালোই লাগে। প্রায় তিন মাস স্থায়ী হয় এই বং এবং ধিরে ধিরে ফিকে হয়।
চুলের পরিচর্যা
চুলে কী রং করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে চুলের পরিচর্যা ঠিক করা হয়। যদিও কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে যে পরিচর্যা সেঠাই যথেষ্ঠ। কিন্তু অমব্রে বা গ্লোবাল কালারে লাইট রং করলে রঙের শেডের উপর ভিত্তি করে শ্যাম্পু করা উচিত।