নিউজ ডেস্ক: একের পর এক দুর্ঘটনার জের! শহরে সকাল ৬টার পর বন্ধ পণ্যবাহী যান চলাচল। আগে তা ছিল সকাল ৮ টা পর্যন্ত। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এই নিয়মভঙ্গের অভিযোগ ছিল। তবে এই নির্দেশিকা আদৌ কতটা কড়া ভাবে পালন হবে তা সময় বলবে।
বেহালা সংলগ্ন বড়িশা হাইস্কুলের কাছে ৪ আগস্ট ছাত্র মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল। হিংসাত্মক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের সব হাতিয়ার ব্যবহার হয় সেদিন। এর পর অবশ্য যান শাসনে কড়াকড়ি করতে দেখা গেছে কলকাতা পুলিশকে। ঘটনাস্থলে বসানো হয় ড্রপ গেট। ট্রাফিক নিয়মেও কড়াকড়ি করা হয়। কিন্তু কতদিন সেই প্রশ্নের উত্তর নেই। কারণ সপ্তাহ গড়াতেই অনেকটাই ট্রাফিকের রাশ আলগা হওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু হয়েছে।
তারই মাঝে কলকাতা, শহরতলী ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর কিন্তু থামছে না। সোমবার ফের দুর্ঘটনা ঘটে শহরে। বেহালা চৌরাস্তার পর এবার ঘটনাস্থল হরিদেবপুরের কালিতলা এলাকা। শ্রী সত্যওয়াল বিহার স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র গুরুতর জখম হয়। পরিবারের সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিল ওই ছাত্র। সেই সময় চলন্ত ট্যাক্সি তাকে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঠাকুরপুকুর কস্তুরী নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
বেহালায় সৌরনীলের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর প্রতিবাদে সোমবার রাতে মোমবাতি মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সৌরনীল সরকারের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বেহালা চৌরাস্তা থেকে ঠাকুরপুকুর পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল হয়।