নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন। তার আগে নির্বচনী প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন অঢেল সময়। তাই বুধবারই পকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন শাহবাজ শরিফ। সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেবে শরিফের জোট সরকার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়ে যাবে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে।
২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন ইমরান খান। তাঁকে সরিয়ে গত বছরের এপ্রিলে দেশের মসনদে বসেন শাহবাজ। আগামী ১২ আগস্ট সেই সরকারের সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেই মতো ১১ আগস্ট পর্যন্ত সরকারে থাকতে চেয়েছিল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নাওয়াজ(PML-N)। কিন্তু সূত্রের খবর, জাতীয় পরিষদ ভাঙার ক্ষেত্রে সমস্যা করতে পারেন PTI’এর প্রাক্তন নেতা তথা প্রেসিডেন্ট আলভি। আর সেই আশঙ্কায় তড়িঘড়ি ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহভাজ।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে সে দেশে সরকার ভেঙে দিতে হয়। নির্বাচনের আগে পর্যন্ত দেশ চালানোর দায়িত্ব বর্তায় ‘কেয়ারটেকার সরকার’এর উপর। অন্তর্বর্তী এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? তা ঠিক করে বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী। তবে তারা ঠিক করতে না পারলে প্রথমে একটি কমিটি এবং পরে নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে একজনকে নির্বাচন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইমরান খানের সরকারকে গদি ছাড়া করার পর শক্তভাবে দেশের হাল ধরতে অক্ষম হয়েছেন শাহবাজ। তাঁর সরকারের আমলে অর্থনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের পরিকাঠামো। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে সরকার গঠন করা শাহবাজের পক্ষে যথেষ্ট দুষ্কর বলে মত কূটনৈতিক মহলের।