নিউজ ডেস্ক: ডার্বির টিকিট নিয়ে ডামাডোল। ১২ আগস্ট ডুরান্ডে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ম্যাচের জন্য বুধবার থেকেই টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সবাইকে টিকিট কিনতে হবে অফলাইনে। কিন্তু কোথা থেকে টিকিট পাওয়া যাবে তা নিয়ে রাত পর্যন্ত ধোঁয়াশা। টিকিট নিয়ে ডামাডোল কাটাতে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ঘরে আলোচনায় বসেছিলেন দু’প্রধান ও ডুরান্ড কমিটির কর্তারা। কিন্তু বহু আলোচনার পরেও নিস্ফলা বৈঠক। ছয় হাজার টিকিটের দাবি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। তা দিতে রাজি ডুরান্ড কতূপর্ক্ষ। কিন্তু অবিক্রিত টিকিটের দায়ভার ডুরান্ড কমিটি নেবে না। অর্থাৎ ক্লাবগুলোকে টিকিট কিনে নিতে হবে। ভিভিআইপি ২০০ টিকিটের দাবি করেছিল লাল-হলুদ কর্তারা। কিন্তু মাত্র ৩৫টি টিকিট দিতে রাজি হয়েছে। ফলে রেগে-মেগে লাল-হলুদ কর্তারা মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এমনকি লাল-হলুদ কর্তারা সিদ্ধান্ত নেন, কোনওভাবেই তাঁরা মাঠে যাবেন না। কারণ এত অল্প টিকিটে কাউকে সন্তুষ্ট করা যাবে না। কিন্তু মোহনবাগানের এ সব কোনও সমস্যা নেই। বৈঠক ছেড়ে বেরিয়েও আসেনি মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। মাঠে না যাওয়ার সিদ্ধান্তও নেয়নি। তাহলে প্রশ্ন ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা ঠিক কোথায়? কোনও উত্তর নেই।
টিকিটের দাম ১০০ ও ২০০ টাকা করা হয়েছে। টিকিটের দাম নিয়ে অবশ্য কোনও অভিযোগ নেই কারও। কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের টিকিট নিয়ে। জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ডার্বির টিকিট বিক্রি করা শুরু হবে। কিন্তু, অনলাইনে কোনও টিকিট বিক্রি করা হবে না। যা টিকিট সব অফলাইনেই বিক্রি করা হবে। শুধুমাত্র C2 ব্লকের জন্য টিকিটের দাম ২০০ টাকা করে ধার্য্য করা হয়েছে। এছাড়া বাকী সব ব্লকের টিকিটের দাম ১০০ টাকা। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ডুরান্ড কর্তারা ক্লাবের হাতে টিকিট ছাড়লেও, সেটা যে সম্পূর্ণ বিক্রি করা হবে, সেই ব্যাপারে আলাদা করে গ্যারান্টি চেয়েছেন। এই অবস্থায় লাল-হলুদ কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তাঁরা এই ম্যাচ দেখতে আর স্টেডিয়ামে যাবেন না।
দেবব্রত সরকার ওই সংবাদমাধ্যমকে ফোনে আরও জানিয়েছেন, ‘গত বছর সমর্থকদের জন্য একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক টিকিট আমাদের দেওয়া হয়েছিল। দুটো ক্লাবকে ৯,০০০ করে টিকিট বিক্রি করার জন্য দেওয়া হয়েছিল। সেই টিকিট বিক্রি করে টাকা আমরা ওদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। এবছর মিনিমাম গ্যারান্টি দিয়ে টিকিট নিতে হবে। আমরা টুর্নামেন্ট খেলব, আবার অন্য লোককে গ্যারান্টি দিয়ে টিকিট কেন নেব, সেটাই বুঝতে পারছি না।’
সেইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘ডুরান্ড খেলতে গেলে অন্য দলগুলোর জন্য অনেক খরচ করতে হয়। তাদের বিমানের ভাড়া, হোটেল খরচ, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা অনেককিছুই করতে হয়। সেখানে তো আমাদের ক্লাবের কিছুই প্রয়োজন নেই। এরপর যদি আমরা ক্লাব থেকে সমর্থকদের টিকিট বিক্রি করতে চাই, সেখানে আমাদের টাকা দিয়ে টিকিট ওদের থেকে কিনতে হবে। নয়ত গ্যারান্টি দিয়ে টিকিট নিতে হবে এমন বাধ্যতামূলক জায়গায় আমরা নেই। ৩০-৩৫ ভিভিআইপি টিকিট নিয়ে আমাদের তো কোনও লাভই হবে না। তার থেকে আমরা মাঠে যাব না। তবে আশা করব, ডুরান্ড কাপ যেন ভালোভাবে আয়োজিত হয় এবং সফল হয়।’