নিউজ ডেস্ক: হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে
মৃত্যু হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার। মৃত ছাত্রের নাম স্বপ্নদ্বীপ
কুন্ডু। নদিয়ার বগুলাতে তার বাড়ি জানা গিয়েছে। কুন্ডু। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার
সকালে নদীয়ার হাঁসখালীর বগুলায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া । আত্মহত্যা না খুন তা নিয়ে
রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। নদীয়ার বগুলার কলেজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা
স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডু এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিল সম্প্রতি উচ্চশিক্ষা লাভের
জন্য বাংলা প্রথম বর্ষের ছাত্র হিসেবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছে ।
কলেজের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা শুরু করে
স্বপ্নদ্বীপ। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যার সময় শেষবারের মতো মায়ের সাথে
ফোনে কথা বলে ছাত্রটি। ওখানে তার ভয় লাগছে বলে পরিবারকে জানায়। এরপর রাত সাড়ে বারোটা
নাগাদ পরিবারকে জানানো হয়, স্বপ্নদ্বীপ ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে। জানা যায়, হোস্টেল
চত্বরে নিচে স্বপ্নদ্বীপকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার
জন্য। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপের। এই ঘটনায় র্যাগিং না আত্মহত্যা তা নিয়ে
রীতিমতো ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ছাত্রটির মাথায় ও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের
চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। পাশাপাশি স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুতে বগুলা কলেজ
পাড়া এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আরও পড়ুন: West Bengal Education: বাংলা বাধ্যতামূলক হলেও পথ খোলা রইল হিন্দি-নেপালির
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের
বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের ‘এ
ব্লক’ থেকে মাটিতে পড়ে যান বলে খবর। তবে তিনি পড়ে যান, নাকি ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে
তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। সূত্রের খবর, বুধবার বাংলা প্রথম বর্ষের প্রথম দিনের ক্লাসে
অনুপস্থিত ছিল ওই ছাত্র। তারপর মাঝরাতে হস্টেলের আবাসিকরা ভারী কিছু পড়ার শব্দ শুনতে
পান। তখন ছুটে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, হস্টেলের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন ওই
পড়ুয়া। তখন তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়।
আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে।
এই ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড এবং অ্যান্টি র্যাগিং
সেল এ বিষয়ে আরো তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে।