নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি ড্রোন হামলা মোকাবিলায় সর্বদা সতর্ক এবং ভালোভাবে প্রস্তুত বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স(BSF)। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিএসএফ অ্যাসিস্টেন্ট কম্যান্ডান্ট গৌরব শর্মা। তাঁর কথায়, “অত্যাধুনিক ড্রোন সম্পর্কে বেশ দক্ষতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে জওয়ানদের। কোনও ধরণের শব্দ পেলেই উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খবর দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া আছে জওয়ানদের।” আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কোনও রকম জঙ্গি কার্যকলাপ নজরে এলেই স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে একযোগে তার তদন্ত করা হয় বলেও জানিয়েছেন গৌরব শর্মা।
বর্তমানে ভারতে মাদকদ্রব্য এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র পাচারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ড্রোন। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি বেশ সাশ্রয়ী এবং এর সাহায্যে খুব সহজেই ভারতের যে কোনও প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া যায়। সেকারণে কাঁটা তারের এপারে নাশকতার জাল বিস্তারে এই প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমেই বাড়াচ্ছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি।
সম্প্রতি প্রকাশিত একাধিক তথ্যানুযায়ী, জঙ্গিদের এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মূল লক্ষ্য হল নিরাপত্তা বাহিনীদের নজর এড়িয়ে জঙ্গি কার্যকলাপের পরিমাণ বাড়ান। আর ভারতের সঙ্গে ‘প্রক্সি ওয়ার’ জোরদার করার লক্ষ্যে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে পাকিস্তান। মূলত জম্মু-কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির মাধ্যমে চলছে এই প্রযুক্তির বহুল ব্যবহার। ফলে ক্রমেই ভারতের জাতীয় স্বার্থের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি। তবে বিএসএফ কম্যান্ডান্টের সাফ বক্তব্য, সমস্ত নাশকতা মোকাবিলায় প্রস্তুত তাঁরা।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে উপত্যকার সীমান্তবর্তী সেক্টরগুলিতে একাধিক পাকিস্তানি ড্রোন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু তার পরও দমেনি পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। কখনও পুঞ্চ, কখনও কুলগাম, বারবার ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। যদিও পিছিয়ে নেই ভারতীয় সেনা জওয়ানরাও। বিএসএফ অ্যাসিস্টেন্ট কম্যান্ডান্টের বক্তব্যে তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।