নিউজ ডেস্ক: নৈহাটির বাবন কর্মকার, বারাসাতের কৌশিক দাসরা হাজির মোহনবাগান তাঁবুর সামনে। সেই সকাল সাডে পাঁচটায়। বাডি থেকে মাঠের উদ্দেশ্যে রওণা দিয়েছেন সেই ভোররাতেই। ১২ অগস্ট ডার্বির দিনের টিকিট চাই। সে জন্য সাত সকালে লাইন। ডার্বির টিকিট নিয়ে মারাত্মক উন্মাদনা দেখতে পাওয়া যেত ষাট ও সত্তরের দশকে। আশির দশকে এ রকম লাইন দেখা যেত মাঝে-সাঝে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে এই ছবি ডার্বিতে দেখা যায়নি। ডার্বির টিকিট নিয়ে ক্ষুব্ধ লাল-হলুদ ক্লাব কর্তারা। তাঁরা সমস্ত রকমের টিকিট বয়কট করেছেন। মাঠে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তারা। কিন্তু সেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সামনেও সাতসকালে লম্বা লাইন।
টিকিট নিয়ে উন্মাদনা থাকলেও কোথায় কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়নি। টিকিটের জন্য লম্বা লাইন সবচেয়ে বেশি মোহনবাগানেই। বিদেশীরা সবাই এসে গিয়েছে। নিত্যদিন প্র্যাক্টিসে হাজির থাকছেন দু’হাজারের মতো সমর্থক। এই উন্মাদনা ফিরিয়ে দিচ্ছে সাত ও আটের দশকে। রীতিমতো চর্চা শুরু হচ্ছে। ২০২৩ সালে ডুরান্ড কমিটি সব অফলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কেন অনলাইনে নয়? এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সেনাবাহিনী পরিচালিত বিশ্বের অন্যতম এতিহ্যবাহী টুনামেন্ট এই ডুরান্ড কাপ।
অতীতে ডুরান্ড কাপের ঠিকানা ছিল নয়াদিল্লিতে। গত তিনবছর ধরে এই টুর্নামেন্ট হচ্ছে মূলত বাংলায়। রাজ্যের ফুটবল ঐত্যিহ্যের কথা মাথায় রেখে। কিন্তু দিনে কালে সেই ঐতিহ্য মিশেছে মাটিতে। দু’প্রধানের ফুটবল টিমের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব কর্পোরেট স্ংস্থার হাতে। দু’প্রধানের কর্তাদের সেজে-গুজে ম্যাচ দেখতে যাওয়া ছাডা কোনও উপায় নেই। ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব ইমামির হাতে। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার হাতে মোহনবাগান টিম।
Tags: NULL