নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ
কুন্ডুর রহস্যমৃত্যু ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। একদিকে যেমন র্যাগিংয়ের অভিযোগ, অন্যদিকে
মানসিক চাপের তত্ত্ব উঠে আসছে। তবে পারিবারিক সুত্রে খবর বাড়িতে ফোনে করে ‘চাপে আছি,
আমায় নিয়ে যাও’ একথা বলছিল স্বপ্নদীপ। তবে কিসের চাপ সেকথা অবশ্যে ফোনে খোলসা করে বলেনি স্বপ্নদীপ এমনটাই দাবি পরিবারের।
স্বপ্নদীপের মামা অরূপ কুন্ডুর দাবি। “তিন দিন ক্লাস করে ভালই
লেগেছে বলেছিল ভাগ্নে। তবে মৃত্যুর আগের দিন বিকেল থেকে বাড়িতে একাধিক বার ফোন করে
ভয় লাগছে বলছিল সে”। হোস্টেলের পরিবেশ আতঙ্কিত করে তুলেছিল বলে দাবি পরিবারের। স্বপ্নদীপকে
রাত ৯ টার পর ফোন করে অবশ্য পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর নেপথ্যে ‘র্যাগিং’ এই সন্দেহে যাদবপুর
থানার দ্বারস্থ হতে চলেছে পরিবার।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ও আতংকের
পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে চাপা উত্তেজনা রয়েছে বলে অভিযোগ।
তবে এক্ষেত্রে র্যাগিং এখন অবধি প্রমানিত না হলেও এই
বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতে র্যাগিংয়ের অভিযোগ কিন্তু রয়েছে।
যদিও এখন আর আগের মত প্রকাশ্যে র্যাগিং হয় না
বলেই দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা
রুজু হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে স্বপ্নদীপের সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। তবে
রাত্রি বেলা হোস্টেলের ছাদে কেন ছিল ওই পড়ুয়া তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। স্বেচ্ছায়
নাকি জোর করে কেউ তাকে ছাদে নিয়ে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখ হচ্ছে। অন্যদিকে হোস্টেলে নিরাপত্তা
ব্যবস্থা কাদের দায়িত্বে ছিল তাও খতিয়ে দেখার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।