নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের প্রথ বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে তুলকালাম । টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হল। র্যাগিঙের অভিযোগে কলকাতার শ্রীকৃষ্ণ কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখায় যাদবপুরের প্রাক্তনী ও কলকাতার শিক্ষানুরাগী সমাজ। কেন ছাত্র মৃত্যু জানতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান সহ ৬ অধ্যাপককে রাজভবনে ডেকে পাঠালেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোস।
স্বপ্নদীপের বাবা ইতিমধ্যে ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন। যাদবপুর থানার পুলিশ নদিয়ায় গিয়ে খুনের ধারায় অভিযোগ নিয়ে আসে। পরিবারের তরফ থেকে লিখিত অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে নদিয়ার বগুলা। এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এরকম ঘটনা ঘটেছে কিন্তু তার প্রকৃত বিচার পাইনি কেউই এমনটাই অভিযোগ ।
নদিয়ার বগুলার স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর গোটা গ্রাম চাইছে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা হোক। ঘড়ির কাটায় তখন রাত ১টা বেজে ২০। কলকাতা পুলিশের কনভয় স্বপ্নদীপের নিথর দেহ নিয়ে পৌঁছলো বগুলার স্বপ্নদীপের বাড়ি মায়ের আঁচলের সামনে। গ্রামের কৃতি সন্তানকে শেষবারের মতো দেখবার জন্য অসংখ্য মানুষ তখন ঠায় দাঁড়িয়ে রাস্তায়। কাঁচের মৃতদেহর গাড়ি থেকে স্বপ্নদীপের দেহ বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নার রোল। বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডু কপাল চাপড়াতে চাপরাতে বারংবার অভিযোগ করছিলেন ছেলেটিকে রড দিয়ে মারা হয়েছে। সারা শরীরে নাকি তেমনই চিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে। তাহলে কি সত্যিই রাগিং এর শিকার স্বপ্নদীপ তা নিয়ে উঠে এসেছে একাধিক প্রশ্ন