নিউজ ডেস্ক: শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের ডার্বি ম্যাচ। মরশুমের প্রথম ডার্বি ম্যাচ। ইস্ট-মোহনের ম্যাচ ঘিরে বাড়ছে উত্তাপ। আর এই বড় ম্যাচকে কেন্দ্র করেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।
এই পদক্ষেপের অন্যতম বিযয় মাঠে ছাতা নিয়ে ঢোকা যাবে না। যাবে না জলের বোতলও। তা বলে লোকে জল খাবে কোথায়? যুবভারতীর অপরিষ্কার ট্যাঙ্ক থেকে। ইডেনে ম্যাচ হলে সাধারণত জলের পাউচ দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে এখনও সে ব্যবস্থা করা হয়নি। ডুরান্ডের আয়োজকরাও এখনও চুপ। তারপরেও নির্দেশিকা হচ্ছে ছাতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন না দর্শকরা। গ্যালারিতে বসে ভিজবেন, কিন্তু স্টেডিয়ামে ঢোকা যাবে না ছাতা সঙ্গে নিয়ে। ছাতা রাখার জন্য তাহলে কী কোনও আলাদা ব্যবস্থা করা হচ্ছে? না এমন কিছু করা হচ্ছে না, যাতে ম্যাচ দেখে ফিরে আবার ছাতা নিয়ে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারবেন দর্শকরা। তার মানে যুবভারতীর গেট দিয়ে ঢোকার সময় ছাতাটি রাস্তায় ফেলে দিয়ে ঢুকতে হবে অথবা পুলিশের করা নির্দিষ্ট স্থানে। ম্যাচ দেখে ছাতা ফিরে পাবেন, তার নিশ্চয়তা পুলিশ দিতে পারবে না। সাধারণত দেয়ও না। ফলে ঝামেলা অনিবার্য। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্যালারি থেকে মাঠে ছুঁড়ে খেলা বিঘ্ন ঘটাতে পারে, এমন কোনও জিনিস সঙ্গে নিয়ে ঢুকতে পারবেন না দর্শকরা। তারমধ্যে ছাতাও পড়ছে। কড়াকড়ির নামে কেন এই অমানবিকতা?
এ ছাড়া বাজি, পটকা, ব্যানার পোস্টার, টিফো নিয়েও মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। নিষিদ্ধ ড্রাম, বাজি, দেশলাই। এগুলো নিয়ে অবশ্য মাথা ব্যাথা নেই অনেকের। কিন্তু কেন ছাড়া নিয়ে মাঠে ঢোকা যাবে না, প্রশ্ন সেখানেই। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিধাননগর ডিসিডিডি বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, ডুরান্ড ডার্বি দেখতে মোট ৬৩ হাজার ৫০০ জন দর্শক আসবে। নিরাপত্তা এবং যান নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রায় ২, ৬০০ জন পুলিশকর্মী থাকবেন। এঁদের মধ্যে প্রায় ১৮ জন ডিসি এবং অ্যাডিশনাল ডিসি র্যাঙ্কের অফিসার থাকবেন।
আরও পড়ুন: Kolkata Derby: ডার্বির আগে লাল হলুদ রঙের বাড়ি দেখতে ভিড় জমাল ভক্তরা
মোহনবাগান দর্শকরা ৩-এ, ৪ এবং ৫ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন। যাঁরা গাড়িতে করে আসবেন, তাঁরা নেমে যাওয়ার পর ক্যানেল সাইড রোডে পার্কিং করবেন। ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা ১, ২ এবং ৩ নম্বর গেট দিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবেন। তাদের গাড়িগুলো থাকবে আইএ মার্কেটের কাছে। ম্যাচ শুরু হবে বিকেল ৪:৪৫ মিনিটে। দুপুর আড়াইটের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে গেট। সমর্থকদের অনুরোধ করা হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের আগে এসে তাঁরা যেন আসন গ্রহণ করেন। A,B,C,D- এই চারটি ব্লকে সিনিয়র অফিসাররা থাকবেন। তাঁরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করবেন। প্রত্যেকটি গেটে সিনিয়র অফিসাররা থাকবেন, তাঁরা চেকিং করে ভিতরে যাওয়ার প্রবেশাধিকার দেবেন। যুবভারতী স্টেডিয়ামের মেন গেটের বাইরে সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে। খেলা শেষ হওয়ার পরে স্টেডিয়ামের বাইরে আলোর যাতে ঘাটতি না থাকে, সেই কারণে আলাদা করে আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তারা দর্শকদের উপরে নজরদারি চালাবে। কেউ বিশৃঙ্খলা বা সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করলে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যুবভারতীতে ম্যাচ শুরু: মোহনবাগান- ইস্টবেঙ্গল (বিকেল ৪-৪৫)