নিউজ ডেস্ক: মোদী জমানায় ভোল বদলাচ্ছে কাশ্মীরের।
কঠিন হচ্ছে সুরক্ষাবলয়। পাকিস্তান এবং চিনকে নজরে রেখে এবার সোভিয়েত জমানার মিগ-২১
যুদ্ধবিমানগুলিকে সরিয়ে ফেলা হল। মোতায়েন করা হল মিগ-২৯ ফাইটার জেট। কাশ্মীর ও লাদাখ সীমান্তে নতুন করে সুরক্ষাবলয়ের কাজ শুরু করল ভারতীয়
বায়ুসেনা। চিন এবং পাকিস্তানের সম্ভাব্য হামলা রুখতে শ্রীনগরের বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন
করা হয়েছে নয়া মিগ-২৯-এর একটি স্কোয়াড্রন। ভূস্বর্গে এবার উড়বে ত্রিশূল।
পোশাকি নাম ট্রাইডেন্ট স্কোয়াড্রন। বাংলায়
বলা চলে ত্রিশূল। শিবের হাতিয়ার। যিনি রক্ষক, তিনিই সংহারক। আর সেই ত্রিশূল উড়বে এবার
কাশ্মীরের আকাশে। বালাকোটে সার্জিকাল স্ট্রাইকের
পর থেকেই কাশ্মীরে একযোগে দুই পড়শি দেশের হামলার মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয়
ফৌজ। এত দিন পর্যন্ত ষাটের দশকে তৈরি রুশ যুদ্ধবিমান
মিগ-২১ ব্যবহার করত এই স্কোয়াড্রন। এবার তাতে আমূল বদল।
আরও পড়ুন: Pakistan PM: ভারতের সঙ্গে শান্তি বৈঠক চায় পাকিস্তান!
রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধবিমানে মাঝ
আকাশেই জ্বালানি তেল ভরার প্রযুক্তি এখন বায়ুসেনার হাতে। এ ছাড়া মিগ-২৯ এখন অত্যাধুনিক
ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন দিকে আক্রমণ শানাতে দক্ষ। ভারতের আকাশ
এখন আগের থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত।
উল্লেখ্য ভারতীয় বায়ুসেনা এবং নৌসেনা- উভয়েই
এই মিগ-২৯ (Mig-29) যুদ্ধবিমান ব্যবহার
করে। বিমানগুলিতে রয়েছে অত্যাধুনিক মিসাইল যা দৃষ্টিসীমার বাইরে গিয়েও আঘাত হানতে সক্ষম।
ভারতীয় নৌসেনার এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী রণতরী থেকেও এই বিমানের একটি সংস্করণ
উড়ান ভরতে ও হামলা চালাতে সক্ষম। কার্গিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলিকে
কার্যত পর্যুদস্ত করেছিল মিগ-২৯।