নিউজ ডেস্ক: ইস্টবেঙ্গল- ১ (নন্দ কুমার ) ||মোহনবাগান-০
‘যতবার ডার্বি, ততবার হারবি’— আর শুনতে হবে না এই বিদ্রুপ। শুনতে ক্লান্ত লাল-হলুদ সমর্থকরা ঘুরে দাঁডানোর শপথ নিয়েছিলেন। নিয়েছিলেন বিদ্রুপের স্লোগানকে পাল্টে দিতে। পেরেছেনও।
যুবভারতীতে ৬০ হাজার দর্শকের সামনে বুক চিতিয়ে মাঠ ছাডলো লাল-হলুদ ব্রিগেড। আনন্দে যুবভারতীর সবুজ ঘাসে গডাগডি খেল জনতা। পুলিশে লাঠি নাগাল পেল না তাঁদের।
৩ বছর ১১মাস পরে লাল-হলুদ জনতার মুখে হাসি ফোটালেন চেন্নাইয়ের নন্দ কুমার শেখর। অভিষেক ডার্বিতে চমৎকার গোল। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ে প্লেসিং বল জালে। মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ ধরার সুযোগ টুকু পাননি।
ডার্বি আসে, ডার্বি যায়। কিন্তু লাল-হলুদ জনতা মুখে হাসি ফোটে না। হাসতে হাসতে ভুলে যাওয়ার সেই সমর্থকরা ভিজলেন বৃষ্টিতে। আনন্দাশ্রু তাঁদের চোখে।
ডার্বির চোখে এই ম্যাচ দারুণ আহামরি কিছু হয়নি। দু’দলের সামনে অল্পবিস্তর কিছু সুযোগ এসেছে। ডার্বির ২৪ ঘন্টা আগেও প্রাক্তন ফুটবলার, কোচরা চেআখ বন্ধ করে এগিয়ে ছিলেন মোহনবাগানকে। কারণ একই টিম। একই ফুটবলার। বরং শক্তি আরও বেডেছে। কিন্তু সেই কাগজে-কলমের সেই শক্তি প্রতিফলিত হল না বাস্তবের মাটিতে। বরং উল্টো কথাই বলতে হয়, ম্যাচ প্র্যাক্টিসে নেই কামিংন্স, সাদিকুরা। নামিয়ে ভুল হয়েছে। লিস্টন কোলাসো সেই দৌড বন্ধ করে দিয়েছে লাল-হলুদের রক্ষণ। মনবীরের সেই ঝাঁঝ উধাও। তুলে নিতে হল দ্বিতীয়ার্ধে।
নন্দকুমারের বাঁ পায়ের জাদুতে সবুজ-মেরুণের সাজানো বাগান লন্ডভন্ড। চেন্নাইয়ের এই ফুটবলার চলতি বছরেই যোগ দিয়েছেন লাল-হলুদে। চেন্নাই সিটিতে খেলা শুরু করেন। তারপরে দিল্লি ডায়নামোসে ছিলেন। শেষ তিন বছর খেলেছেন ওডিশা এফসিতে। তারপরে লাল-হলুদ। কালোর্স কুয়াদ্রাতের কোচিং জীবনে এটাই প্রথম ডার্বি। বাজিমাৎ শুরুতেই। দারুণ বুদ্ধি করে টিম সাজিয়েছিলেন। রক্ষণকে রেখেছিলেন মজবুত। প্রতি-আক্রমণে আঘাত হেনেছেন বাগান রক্ষণে।
ডার্বি মানেই বাঙ্গালি ফুটবলারদের জয়জয়াকার। কিন্তু এ দিন যুবভারতীতে খেললেন মাত্র দু’জন বঙ্গসন্তান। লাল-হলুদে শৌভিক। মোহনবাগানের ক্যাপ্টেন শুভাশিস বসু। আর নায়ক হলেন চেন্নাইয়ের নন্দ কুমার।