নিউজ ডেস্ক: দেশের নিরাপত্তায় সর্বদা তৎপর ভারতীয় সেনা। যেকোনও পরিস্থিতিতে নিমেষের মধ্যে শত্রুপক্ষের উপর ডিরেক্ট অ্যাকশনে পিছুপা হবে না জওয়ানরা। ক্ষমতায় আসার পর দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঠিক এমনভাবেই সাজিয়ে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিষয়টি আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল গালওয়ান সংঘর্ষ সম্পর্কে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে।
প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার তরফে প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের ঠিক পরই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবরা ৬৮ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছিল ভারত। সেইসঙ্গে মোতায়েন করা হয় ৯০টি ট্যাঙ্ক সহ অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিপুল ভাণ্ডার। আর এই সবকিছুই নিমেষের মধ্যে দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সীমান্তে মোতায়েন করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা।
২০২০ সালের ১৫ জুন অশান্ত হয়ে ওঠে গালওয়ান উপত্যকা। রক্তাক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিন। এই ঘটনার পরই প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণরেখা(LAC)র দুর্গম এলাকাগুলিতে পরিবহন ব্যবস্থার সাহায্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে সেনা জওয়ানদের পাশাপাশি অত্যাধুনিক সু-৩০(SU-30) এবং জাগুয়ার যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করে বায়ুসেনা। সর্বদা লালফৌজের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানোর জন্যে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক আরপিএ’ও।
সেইসঙ্গে, ‘আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে’ কমব্যাট এয়ারক্রাফটের বেশ কয়েকটি স্কোয়াড্রন স্থাপন করা হয় খুব অল্প সময়ের মধ্যে। সি-১৩০জে(C-130J) সুপার হারকিউলস এবং সি-১৭(C-17) গ্লোবমাস্টার এয়ারক্রাফট সহ মোট ৯ হাজার টনের সামগ্রি একসঙ্গে বহন করেছিল বায়ুসেনা। এ ছাড়াও গালওয়ান উপত্যকায় মোতায়েন করা হয়েছিল রাফাল এবং মিগ-২৯’এর মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানও। যুদ্ধের জন্যে একেবারে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল সবকিছু।
যদিও শেষ পর্যন্ত সাময়িকভাবে সংঘর্ষবিরতি ঘটে দু’দেশের মধ্যে। তবে সেদিনের ঘটনায় প্রমাণিত, কৌশলগত ভাবে আগের থেকে অনেক বেশি শক্তি সঞ্চয় করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। প্রতিরক্ষার শীর্ষস্থানীয় সূত্রের দাবি, ২০০১ সালের ‘অপেরেশন পরাক্রম’এর থেকে অনেক বেশি উন্নতি করেছে বায়ুসেনা। আর এই সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জমানায় বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।