নিউজ ডেস্ক: উৎসব থেমেছে। কিন্তু থামেনি ডার্বি ম্যাচের গোল নিয়ে আলোচনা। ৬০ মিনিটে নন্দ কুমারের গোল নিয়ে চর্চা চলছে অবিরত। তাঁর একটা গোলই প্রায় চার বছর ডার্বি জেতাতে সাহায্য করেছে ইস্টবেঙ্গলকে। তিনি ডান পায়ের ফুটবলার। কিন্তু তিনি বলটি নিঁখুত নিশানায় রেখেছেন বাঁ পায়ে। এখানে লুকিয়ে গোলের মাহাত্ম্য। ম্যাচের পরে নন্দকুমার তা স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘প্র্যাক্টিসে বহুবার এ রকম শট নিয়েছি। কিন্তু কোনওবার টার্গেটে পৌঁছয় নি। ডার্বিতে কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছি। টিম জিতেছে। এটাই বড় কথা।’
ডার্বিতে এর আগেও গোল নিয়ে চর্চা হয়েছে। কলকাতা মাঠে দেখা গিয়েছে বহু বিশ্বমানের গোলও। ১৯৯৮ সালে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে আই এম বিজয়নের গোলটির সঙ্গে চর্চা চলছে। এক সময়ের লাল-হলুদের মিডফিল্ডার জেনারেল মেহতাব হোসেনের কথায়, ‘নন্দ কুমারের গোল এককথায় অসাধারণ। বহুদিন পরে যুবভারতীতে এ রকম একটা গোল দেখলাম।’ গোলের বিশেষত্ব বলতে গিয়ে মেহেতাবের মন্তব্য,‘বলটা মারার কথা ছিল ডান পা দিয়ে। কিন্তু মেরেছে বাঁ পায়ে। ওরকম জায়গা থেকে বাঁ পায়ে গোল করাটা কিন্তু সহজ কথা নয়।’
আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo: ফের জোড়া গোল, চোখের জলে ট্রফি নিলেন রোনাল্ডো
কলকাতা লিগে দু’বারের সর্বোচ্চ গোলদাতা দীপেন্দু বিশ্বাসও কিন্তু গোল নিয়ে মজে ৪৮ ঘন্টা পরেও। বললেন, ‘সুন্দর একটা গোল দেখলাম। গোটা ডার্বি ম্যাচে বলার মতো ঘটনা এটাই।’ মেহেতাবের সুর দীপেন্দুর গলায়, ‘বহুদিন পরে এ রকম একটা গোল দেখলাম। যা এককথায় দুর্দান্ত ছাড়া আর কিছু বলা সম্ভব নয়।’ গোল নিয়ে বিস্ময়ের ঘোর কাটেনি নন্দ কুমারের সতীর্থদেরও। ম্যাচের পরে হোটেলে ফিরে কেক কাটার অনুষ্ঠান। সেখানেও নন্দকুমার মধ্যমণি। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে তাঁর গোটা মুখে কেক মাখিয়ে দিচ্ছেন হরমনজিত সিং খাবরা।
চেন্নাইয়ের অটো ড্রাইভারের ছেলে নন্দ কুমার। বাবা চেয়েছিলেন, ছেলে পড়াশোনা করে জীবনের উন্নতি করবে। কিন্তু পড়াশোনা বন্ধ রেখে নন্দ কুমার ফুটবলকে বেছে নিলেন। বেছে নিলেন পেশাদারের ফুটবলারের জীবন। তামিলনাডু বহু ক্লাব ঘুরে চলতি বছরে নাম লিখিয়েছেন লাল-হলুদে। সিদ্ধান্ত যে ভুল হয়নি, রেখেছেন তার প্রমাণও। যদিও বাকি এখনও বহু পথ। লক্ষ্য অনেকটাই নন্দ কুমারের।