নিউজ ডেস্ক: অল্প খাবারে অনেকক্ষণ পেট ভরতি রাখার অন্যতম উপাদান হচ্ছে ছাতু। খেতেও সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর ছাতু ধিরে ধিরে জনপ্রিয় হয়েছে বাঙালিদের মধ্যে। মূলত অবাঙালিদের হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গে ছাতুর আনাগোনা বাড়ে। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং বিহারে ছাতুর প্রচলন বেশি। বিহারের খাদ্য তালিকায় তাই এমন অনেক খাবার আছে যার মূল উপাদানই হল ছাতু। সহজপাচ্য এই খাবারটির পুষ্টিগুণ অনেক। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম। শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির চাহিদা মেটায় এই উপাদানটি। ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং প্রোটিনে ভরপুর হাওয়ায় একে ‘দেশি হরলিক্স’ নামেও ডাকা হয়।
ছাতুতে থাকা ভিটামিন, ফ্যাট এবং প্রোটিনের জন্য প্রত্যেকদিন ছাতু খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। এটি একাধারে হজমের সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতেও ভীষণভাবে উপকারি। ছাতুর মধ্যে থাকা ফাইবার দেহ থেকে অতিরিক্ত তেল বের করে দিতে সাহায্য করে। ছাতুতে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে এটি শরীরের দুর্বলতা দূর করে। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে যে সকল পুষ্টিগুণ প্রয়োজন ছাতুতে সেই সকল থাকার জন্য শিশুদের ডায়েটে রাখতে পারেন এই খাদ্যটি। প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল ছাতু। ফলে ছাতু খেলে ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি পায়।
গরমে দেহ ঠান্ডা রাখার জন্য ছাতুর শরবত খাওয়া খুবই উপকারি। ওজন কমানোর জন্য সকালে ছাতুর সঙ্গে লেবুর রস ও বিট লবণ জলে মিশিয়ে খাওয়া যায়। তবে শুধুমাত্র শরবত নয় আরো বিভিন্নভাবে ছাতু খাওয়া যায়। পেঁয়াজ, লঙ্কা, ধনে পাতা কুচি করে কেটে ছাতুর সঙ্গে মাখিয়ে ঝাল ছাতুও খাওয়া যায়। আবার এই মিশ্রণটি আটার লেচির মধ্যে পুরে ছাতুর পরোটা বানিয়েও খাওয়া যায়। মুড়ির সঙ্গে ছাতু চিনি বা গুড় দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।