নিউজ ডেস্ক: “মেরে প্রিয় একশো চালিশ ক্রোড় পরিবার জন” ৭৭তম স্বাধীনতা
দিবসের সকালে দেশবাসীকে ‘পরিবার’ বলে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই
প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লার ঐতিহাসিক ইমারত থেকে স্বাধীনতা দিবসের দিন দেশবাসীর
প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা ব্যক্ত করলেন। হাততালিতে ফেটে পড়ল গোটা দেশ। জনসংখ্যা
ও গণতন্ত্রের ভিত্তিতে মোদী জমানায় এক নম্বরে ভারত। ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসকে ঐতিহাসিক
করে তুললেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজনৈতিক সংকীর্ণতা
ভুলে মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে বিপ্লবী ভগৎসিং, ঋষি অরবিন্দ ও আধ্যাত্মিক গুরু
স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী, মীরাবাঈ ও রানি দুর্গাবতীর অবদান জাতিকে সম্বোধন করার সময়
তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। দেশ প্রগতির পথে এগোলেও সামনে রয়েছে কয়েকটি বাধা। সেই বাধা
কাটাতে গেলে রাজনীতির সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে রাজ্য ও কেন্দ্রের সহযোগিতায় কাজ করার
কথাও এদিন বলেন দেশের সর্বোচ্চ আসনে থাকা এই প্রশাসনিক কর্তা। লালকেল্লার মঞ্চ থেকে মণিপুর ইস্যু
সমাধানের ইঙ্গিত দেন তিনি।
স্বাধীনতা দিবস পরাধীনতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার
দিন। যেভাবে হাজার বছর পূর্বে এদেশ বহিরাগত আক্রমণকারীদের হাতে পরাধীন হয়েছিল, অখণ্ড
ভারতমাতার পা থেকে মাথা ধীরে ধীরে পরাধীনতার শিকলে বেষ্টিত হয় তা এদিন মনে করিয়ে দেন
প্রধানমন্ত্রী। শুধু ব্রিটিশরা নয়, তার আগে যারা সোনার পাখি ভারতের সম্পদ লুঠ করেছে
তাদের আরেকবার এদিন স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। সেই লুঠের ক্ষত আজও শুকোয়নি। কিন্তু হাজার
হাজার বছরের বহিরাগত আক্রমণ ও পরাধীনতার হাজার বছরের প্রত্যেক শতক ও দশকে পরাধীনতা
থেকে মুক্তির সংগ্রাম হয়। সেই ইতিহাস থেকে দেশবাসীকে শিক্ষা নিতে বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত আজ ভারতের নাম নিলে দ্বিতীয় বা
তৃতীয় বিশ্বের দেশ মনে করা হয় না। বিশ্বের উন্নত দেশের সারিতে দাঁড়িয়ে ভারত। ভারত আজ
বিশ্বগুরু হওয়ায় সম্মুখে দাঁড়িয়ে। এই কৃতিত্ব অবশ্যই দেশের সরকারের প্রাপ্য বলে মনে
করছে দেশবাসীর একটা বড় অংশ। সরকার ও জণগণের একে অপরের প্রতি বিশ্বাসের ফলে ভারত আজ
এই কৃতিত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এটাই ২৪-এর
লোকসভার নির্বাচনে যাওয়ার আগে শেষবারের মত লালকেল্লা থেকে জাতিকে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু তাঁর বক্তব্যে ছিল না কোনো রাজনৈতিক সংকীর্ণতা কিংবা জনমুখী প্রকল্প ঘোষণার
আড়ালে ভোট ব্যাংক তৈরির চেষ্টা।