নিউজ ডেস্ক: বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, চন্ডি পাঠ এবং যজ্ঞানুষ্ঠানের মাধ্যমে পুজো করা হল ভারত মাতার। মঙ্গলবার বিজেপির কলকাতার সদর কার্যালয় ছাড়াও রাজ্যজুড়ে পালন হল স্বাধীনতা দিবস। দেশের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। প্রতিটি জেলায় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ভারত মাতার পুজোর মাধ্যমে দেশ ভক্তির প্রকাশ করল জলপাইগুড়ি শহরবাসী।
জলপাইগুড়ি শহরের রেসকোর্স পাড়া মর্ডান ওয়েলফেয়ার ক্লাব আয়োজিত এই পুজো দুই দশকের পুরোনো। এবছরের পুজো তাদের ২৪তম বর্ষে পদার্পণ করল। অন্যদিকে জেলা বিজেপি পার্টি অফিসেও ধুমধাম করে ভারত মাতার পুজো করা হয়। এছাড়াও শহরের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ভারত মাতার পুজো করা।
চাকদহ চৌমাথা জাতীয় সড়কে ১০০ মিটার তেরঙ্গা পতাকা নিয়ে শোভাযাত্রায় বের হয়। এবিভিপির পরিচালনায় সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতায় চাকদহ চৌরাস্তা থেকে সম্প্রীতি মঞ্চ পর্যন্ত এই শোভাযাত্রায় শামিল হন চাকদহ বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও উৎসাহী সাধারণ মানুষ।
এদিন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহরের রাস্তায় একটি র্যালী বের করা হয় রেসকোর্স পাড়া মর্ডান ওয়েলফেয়ার ক্লাবের পক্ষ থেকে। তার পরেই শুরু হয় ভারত মাতার পুজো। এলাকার মহিলা পুরুষ থেকে শুরু করে কচিকাঁচাকেও পুজোতে অংশ নিতে দেখা যায়।
একই চিত্র দেখা যায় বিজেপি অফিসেও। এদিন মর্ডান ওয়েলফেয়ার ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি অরিন্দম সুর বলেন, “ এলাকায় সমস্ত ধর্মের লোকের বসবাস। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি জেলার পাশেই বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান সীমান্ত। আবার ঢিলছোঁড়া দুরত্বে চিন সীমান্ত। যে কারনে দেশকে রক্ষা করতে প্রথমে দেশাত্মবোধের প্রয়োজন। সেই চিন্তা করেই দুই দশক আগে ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসের দিন এই পুজোর সুচনা করা হয়েছিল। যা এখনও বজায় রাখা হয়েছে”।পুজোর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।