নিউজ ডেস্ক: অতীতেও একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে। ফের আরও একবার সলতে পাকানো শুরু।
ভারতীয় ফুটবল টিমের জন্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের দেশের জার্সিতে খেলানোর উদ্যোগ নিলেন এআইএফএফ সভাপতি কল্যান চৌবে। যদিও এই সব কিছুই নির্ভর করবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তেও ওপর। যদিও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত এআইএফএফের এই সিদ্ধান্তে সায় দেয়নি। সম্ভব নয়, আচমকা সিদ্ধান্তের উপরে সহমত হওয়া। বহু নিয়ম কানুনের প্রয়োজন। প্রয়োজন সংবিধানের একাধিক সংশোধনের। একদিনের কাজও নয়। তারপরেও হাল ছেড়ে দিচ্ছে না এআইএফএফ। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য় তারা সব কিছু করতে প্রস্তুত। তাই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
পঞ্জাব ফুটবল সংস্থার সভাপতি সমীর থাপারের নেতৃত্বে এক বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ফেডারেশনের কাছে সেই রিপোর্ট জমা দেবে এই বিশেষ টাস্ক ফোর্স। ভারতীয় বংশোদ্ভত ফুটবলার এবং বিদেশে বসবাসকারী কতজন ভারতীয় নাগরিক রয়েছে। এবং কারা ফুটবল খেলে, তাদের একটি রিপোর্ট সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছে জমা দেবে এই কমিটি। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাবে এআইএফএফ।
প্রসঙ্গত, মাইকেল চোপড়া, বিকাশ ধোরাসুরের মতো ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলাররা বিদেশের ফুটবলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন। তবে তাদের জাতীয় দলে জায়গা হয়নি। এমনকি এখনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের জাতীয় দলে খেলানোর নিয়ম নেই। ভবিষ্যতে যাতে নিয়ম বদলানো যায়, তারই পদক্ষেপ শুরু করল ফেডারেশন। বিভিন্ন দেশে এই নিয়ম চালু থাকলেও, ভারতে তা নেই। দেশের ফুটবলের স্বার্থে যাতে এই নিয়মের বদল ঘটানো যায়, তার জন্য নয়া উদ্যোগ নিলেন কল্যান চৌবে।
এই প্রসঙ্গে এআইএফএফ সভাপতি কল্যান চৌবে বলেন, ‘বিদেশে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের একটি তালিকা তৈরি করবে এই কমিটি। বিদেশের বিভিন্ন লিগে বা বিদেশের অনেক জাতীয় দলেই এমন ফুটবলার রয়েছে, যারা ভারতের নাম উজ্জ্বল করছে। আমরা জানি, এ দেশে সেই সব ফুটবলারদের খেলানোর নিয়ম নেই। তবে সেই সফল ফুটবলারদের তালিকা পেলে আমরা এ বিষয়ে একটি গঠনমূলক আলোচনা করতে পারি। আমরা সেই সব ফুটবলারদের দেশের জার্সিতে খেলানোর দাবি জানাতে পারি। তাই জন্যই এই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। ভারতীয় ফুটবলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবরকম পদক্ষেপই আমরা নিচ্ছি।’