নিউজ ডেস্ক: আগে কারাগারের ভিতরই কেবলমাত্র সাইরেন
লাগানো থাকত, আপতকালীন কোনো সমস্যা হলে বা বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটলে মুহূর্তের মধ্যে
বেজে উঠত সেই সাইরেন। আর তাতেই সতর্ক হয়ে যেতেন পুলিশ ও জেলের আধিকারিক-কর্মীরা। এবার
সেই আদলেই আপতকালীন সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য প্রতিটি থানায় সাইরেন বসানোর উদ্যোগ
নেওয়া হয়েছে। সমস্যা সৃষ্টি হলেই এবার থানায় থানায় পাগলা ঘন্টি বেজে উঠবে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে যে সাধারণত কোনো বড়
ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অনেকসময়ই দেরি হয়ে যায় পুলিশকর্মী ও পুলিশ আধিকারিকদের।
আবার থানার মধ্যে উন্মত্ত জনতা
ঢুকে পড়লে অনেক সময়ই অতর্কিতে তাদের সামনে পড়ে পুলিশকর্মীরা বুঝে উঠতে পারেন না।
তাই এবার কলকাতার থানাগুলিতে ‘পাগলা ঘণ্টি’ চালু করার ব্যবস্থা করছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
থানাগুলির কোন তলার কোন দেওয়ালে তা বসালে
থানার আনাচকানাচে সেই শব্দ পৌঁছবে, তা নিয়ে সমীক্ষা শুরু করেন বিশেষজ্ঞরা। সেই মতোই
বৈদ্যুতিক তারের বিন্যাসের কাজ শুরু হয়। একেকটি ‘পাগলা ঘণ্টি’ কেনা ও তা বসানো বাবদ
খরচ হচ্ছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা।
Heavy Rain and Landslide: প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড
এর আগেও কলকাতার একাধিক থানা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অনেক সময়ই দেখা
যায় যে, উন্মত্ত জনতা থানায় জড়ো হয়ে গোলমাল করতে শুরু করার সময় তৈরি হয়ে থাকেন না
পুলিশকর্মীরা। কিছু ক্ষেত্রে বাধাহীন হয়েই থানায় হামলা চালায় জনতা। পুলিশকর্তাদের মতে,
এবার জনতা থানায় জড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাগলা ঘন্টি বা সাইরেন বাজলেই অবস্থা বুঝে
পুলিশকর্মীরা একসঙ্গে তাদের বাধা দিতে পারবেন। ইতিমধ্যেই কয়েকটি থানায় এই সাইরেন বা
পাগলা ঘন্টি বাজানোর মহড়াও হয়ে গিয়েছে। শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে কত সময়ের মধ্যে কর্তব্যরত
পুলিশকর্মীদের জড়ো হতে হবে, তাও মহড়ার মধ্যে রাখা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।