নিউজ ডেস্ক: ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়গুলির মধ্যে একটি হল চা। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় দার্জিলিং চায়ের পাশাপাশি জায়গা করে নিয়েছে আরো অনেক রকমের সুগন্ধি চা। এই পানীয় ভালোবাসেনা এমন মানুষ খুব কম। কড়া করে লিকার চা কিংবা আদা দিয়ে গাঢ় দুধের চা, খেতে ভালো লাগে বলে চা-প্রেমী মানুষেরা বিভিন্ন চা টেস্ট করতে পছন্দ করেন। হরেক রকমের উপকরণ সহযোগে চায়ের রেসিপি বানিয়ে ফেলেন অনেকেই। সকালে ঘুমের রেশ কাটাতে বা সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ চায়ের কোন বিকল্প নেই। দার্জিলিং চা, আসাম চা, গ্রিন টি আবার হালেফিলের বাটারফ্লাই পি টি বা অপরাজিতা ফুলের চা- তালিকা থেকে বাদ যায়নি কোনটাই।
তবে কখনো কেশর চা খেয়েছেন? কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর কেশরের গুনাগুন অনেক। কেশর চা বানানোর বিভিন্ন রকম উপায় রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অথেনটিক কাশ্মীরি কেশর চা আবার একটু বাঙালিআনা বজায় রেখে আদা দিয়েও এই চা বানানো যায়। কেশর চা খেলে তাই উপকার পাওয়া যায়।
অবসাদ কাটাতে কেশর চা
সারাদিনের ক্লান্তির পরে শরীরকে চাঙ্গা করে তুলতে কেশর চায়ের জুড়ি মেলা ভার। স্বাদ ও গন্ধে ভরপুর এই চা খেলে নিমেষে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। কেশরের মিষ্টি গন্ধে মানসিক অবসাদও কেটে যায় দিনের শেষে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে কেশর চা
ক্যান্সার প্রতিরোধে অন্যতম একটি যৌগ হল আন্টিকারসিনোজেন। তাই অনেকের মতে কেশরের মধ্যে থাকা এই যৌগ ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কেশর চা
কেশরের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও সাহায্য করে। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও নিয়মিত কেশর চা খাওয়া যায়।
স্বাস্থ্যজ্জল ত্বকের চাবিকাঠি
রূপচর্চায় কেশরের ব্যবহার বহু দিনের। তাই কেশর চা খেলেও সেই ছাপ পড়ে চেহারাতে। ত্বকে কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে কেশর। তাই বলিরেখার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় নিয়মিত কেশর চা খেলে।