নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে তুমুল চাপানউতোর
রাজনৈতিক মহলে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই পরিসরে তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ
বোসকে। ব্রাত্য বসুর সাফ দাবি, রাজ্যপালের কারণেই যাদবপুরে এত অচলাবস্থা। তিনি উপাচার্য
নিয়োগ না করার জন্যেই নাকি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছিল যাদবপুর। তবে ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্যের
প্রেক্ষিতে পালটা তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
যাদবপুরের ঘটনায় ব্রাত্য বসু ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে
আগে জেলে ঢোকানো উচিত মন্তব্য শুভেন্দুর। বুধবার তমলুকে জেলা পরিষদের জয়ী বিজেপি সদস্যদের
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে বলেন, যাদবপুরের ছেলেটা আত্মবলিদান দিয়ে চোখ খুলিয়ে দিয়েছে।
অন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কী হচ্ছে কোনো খবর আছে? তিনি অভিযোগ করেন কোনো কলেজ
হস্টেলগুলিতে সিসিটিভি কিংবা সুপার আছে? আসল সমস্যার সমাধান না করে নিজেদের বাঁচানোর
চেষ্টা করছে। একে ধরছে, ওকে ধরছে- আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরা উচিত। তার ব্যবস্থাপনায়
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলছে। যেখানেই হাত দেবেন পচা গন্ধ বের হবে,
কোনো দপ্তরই ভালো না। যাদের যোগ্যতা নেই, তাদের রেজিষ্টার করেছে প্রো ভিসি করেছে যারা৷
অ্যাডমিশন বেচে খেয়েছে।’ এখানেই থেমে থাকেননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরো বলেন, ‘ডিয়ার
লটারি ও মদ খাইয়ে যুব সমাজকে পঙ্গু করে দিয়েছে। তাই আজ কলেজে অনার্স বিভাগে ৫০ শতাংশ
সিট খালি থাকে।’
পাশাপাশি আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ গঠন নিয়ে
বলেন বিজেপির ১৪ জন জয়ী সদস্য শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবে কিন্তু সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি
নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না। বিগত বোর্ডের সময় জেলা পরিষদ পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছিলো।
আমরা তা আর হতে দেব না। দক্ষ বিরোধী দলনেতা তৈরি করে জেলা পরিষদের স্বচ্ছ কাজ করা হবে।