নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ৬টি মামলায় অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির তাঁর আবেদন খারিজ করে দিল একটি জেলা ও দায়রা আদালত। বিচারক মহম্মদ সোহেল স্পষ্ট জানিয়েছেন, পাক সুপ্রিম কোর্টের রায়ের নিরিখে ইমরানের জামিনের মেয়াদ আর বাড়ানো সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: Imran Khan: তিন বছরের কারাদণ্ড ইমরান খানের, পুলিশি হেফাজতে পাক-প্রধান
সম্প্রতি তোষাখানা মামলায় পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ(PTI)র চেয়ারম্যান তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে জেলা এবং দায়রা আদালত। সেইসঙ্গে ১ লক্ষ টাকার জরিমানাও ধার্য করা হয় ইমরানের উপর। পাশাপাশি, ৫ বছর কোনও নির্বাচনে তাঁর অংশগ্রহণের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত।
আদালতের এই রায়ের পর পাক অধিকৃত পাঞ্জাবের সিন্ধ প্রদেশের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে অটক জেলে রয়েছেন ইমরান। সম্প্রতি, জেলের অসস্তিকর পরিবেশে থাকতে পারছেন না বলে আইনজীবীদের জানান পিটিআই চেয়ারম্যান। শীঘ্রই তাঁকে সেখান থেকে বের করার জন্যে আবেদনও জানান ইমরান। তবে এবার তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে দেশের রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কোনও মন্ত্রীরা উপহার পেলে, তা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। তবে ১০ হাজার টাকার কম মূল্যের উপহার হলে তা নিজের কাছে রেখে দিতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী বলেই নিয়ম। সেক্ষেত্রে বাজার মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে তাঁকে। কিন্তু ক্রিকেটার-রাজনীতিক ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংবিধানের সেই আইন লঙ্ঘন করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।