নিউজ ডেস্ক: হাঙর শিকার আইনত নিষিদ্ধ।
কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় হাঙর শিকার ও
পাচারচক্র। অবাধে চলে হাঙর মাছ শিকার। এর পর সেই মৃত মাছের শুঁটকি বানিয়ে বিভিন্ন
জেলায় পাচার করা হয়। এই বেআইনি ব্যবসা। এবার এই হাঙর শিকার ও
পাচার রুখতে সক্রিয় হল বন বিভাগ। বেআইনি এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত
থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। ধৃত আকাশ দাস কাকদ্বীপের
হরিপুরের ও রঞ্জিত বাগ সাগরের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা।
গোপনসূত্রে খবর পেয়ে জেলা বনবিভাগের
আধিকারিকদের এক বিশেষ দল বৃহস্পতিবার ভোররাতে অভিযান চালায় নামখানার ফ্রেজারগঞ্জ
উপকূল থানার বালিয়াড়ায়। বাজেয়াপ্ত করা হয় সত্তরটি ক্রেট। প্রত্যেকটি ক্রেটেই
ছিল আধা প্রক্রিয়াজাত করে রাখা বোঝাই ছোট ছোট হাঙর। সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী থেকে
ধরা হাঙরগুলি পাচার করা হচ্ছিল কলকাতা সহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বাজারে ও নামিদামি
রেস্তোরাঁয়। মাঝে মধ্যে উপকুলবর্তী জেলার বাজারেও ছোট হাঙর বিক্রি হতে
দেখা যায়। তবে হাঙর শুঁটকির বেআইনি বাজারে বেশ কদর রয়েছে বলে জানা যায়। এক্ষেত্রে নজরদারি
এড়িয়ে চড়া দামে বিক্রি হয় শুঁটকি।
এই বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অন্যদের
খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে বনবিভাগ। জেলা বনাধিকারিক মিলন মন্ডল জানান,
সক্রিয় থাকা হাঙরশিকার ও পাচারচক্র নির্মূল করতে লাগাতার এধরণের
অভিযান চালানো হবে। ধৃত দু‘জনকেই বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ
এসিজেএম আদালতে তোলা হবে।