নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের ঘটনায় সরগরম গোটা রাজ্য। ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এবং সেই সঙ্গে হস্টেল কর্তৃপক্ষেরও। ইতিমধ্যে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বড় বড় নেতা-মন্ত্রীরা। সম্প্রতি ভাইরাল এই ঘটনায় দেওয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। যাদবপুর মানেই বামপন্থীদের শক্তঘাঁটি। তাই এই বিষয়ে বামপন্থীদের তীব্র আক্রমণ করাটা স্বাভাবিক। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কী এমন বললেন, যা নতুন করে তুলে দিয়েছে বিতর্কের ঢেউ!
প্রসঙ্গত, বামেদের দুষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’যাদবপুরের ওই ছেলেটির হাতে একটা মাদুলি ছিল। ওরা বলেছিল সেটা খুলতে হবে। যেন জমিদারি। ওটা যেন ওদের রেড ফোর্ট। ওদের বোধ বলে কিছু নেই। আবেগ, বিবেক নেই।’ আর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন। একপক্ষ রাজনৈতিক সমালোচক এই র্যাগিংয়ের মধ্যে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার ঘটনা দেখছেন। তাঁদের মতে, মাদুলি হিন্দুদের একটি ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতীক। আর অভিযুক্তরা মৃত পড়ুয়ার ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজ করতে বলে।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ীর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি পরিষ্কার ভাষায় বলেন,’বামপন্থী না হলে প্রাক্তন হয়েও যাদবপুরের হস্টেলে থাকার অধিকার অন্য কোনও মতাদর্শে বিশ্বাসীদের পক্ষে সম্ভব নয়। কমিউনিজমের প্রথম ধাপই হলো ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দিয়ে হিন্দুকে অহিন্দু বানানোর প্রচেষ্টা।’ এ প্রসঙ্গে তিনি পূর্বে বামপন্থী ছাত্রযুবদের গীতা-পৈতে পুড়িয়ে প্রতিবাদ করানোর দৃষ্টান্তও তুলে ধরেন। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিষয়ে মুখ খোলাকে সমর্থন জানালেও তিনি প্রশ্ন তোলেন রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে। তাঁর দাবি, যাদবপুরে এই অপসংস্কৃতি দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে। তা সত্ত্বেও বর্তমান সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থেকেছে।