নিউজ ডেস্ক: ফের বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে দুর্ঘটনা উত্তর কলকাতায়। পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে পুরোনো বাড়ি ভেঙে মৃত্যু এক মহিলার। বৃহস্পতিবার মধ্য়রাতে ওই পাঁচতলা বাড়িটির তিনতলার একটি বারান্দা ভেঙে পড়ে। ঘটনার জেরে আটকে পড়েন তিন জন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় এক মহিলার। আহত হয়েছেন এক নাবালক সহ আরো একজন।
পাঁচতলা ওই বাড়িটিকে আগেই বিপজ্জনক বাড়ির তালিকায় ফেলে দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তা সত্বেও ওখানেই বসবাস করছিলেন অনেকেই। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ওই বাড়ির একাংশ ভেঙে গেলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন এক দম্পতি ও এক কিশোর। প্রায় চার ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকেন তাঁরা তিনজন।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান দমকল ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে হাসপাতালে মারা যান এই মহিলা। বাকি দুজন এখনো চিকিৎসাধীন। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলার ইলোরা সাহা। মারণফাঁদ এই বাড়িটি নিয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল বাড়িটির মালিককে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে স্থানীয় থানার আলোচনা হলেও কোনো লাভ হয়নি বলেই জানিয়েছেন ওই বাড়ির অন্যান্য বাসিন্দারা।
পুরসভার তরফে বিপজ্জনক বাড়ির তকমা দেওয়া হলে বাড়ির মালিককে বাড়ি সারাইয়ের কথা বলেছিলেন ভাড়াটিয়ারা। বাসিন্দাদের দাবি তাঁদের অন্যত্র সরে যাওয়ার সামর্থ্য না থাকার জন্য ওই বিপজ্জনক অবস্থার মধ্যেই দিন কাটাচ্ছিলেন তাঁরা। তবে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। উত্তর কলকাতার আনাচে কানাচে লুকিয়ে আছে এমন অনেক বিপজ্জনক বাড়ি। পুরসভা-প্রশাসনের নিষেধ সত্বেও অনেকেই বসবাস করছেন সেখানে।