নিউজ ডেস্ক: একদিকে চিনের চোখ রাঙানি, অন্যদিকে পাকিস্তানের আগ্রাসন নীতি। সীমান্তের দুই প্রতিবেশি দেশের আক্রমণ রুখতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ ভারত। সেই প্রস্তুতিতে এবার আরও এক মাত্রা যোগ করতে মার্কিন সংস্থা বোয়িং’র কাছ থেকে ই’মডেলের ৬টি অ্যাপাচে(APACHE) হেলিকপ্টার ঘরে তুলতে চলেছে ভারত। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ইএস(Apacha AH-64Es) পাবে দেশের সেনা।
অত্যাধুনিক এই চপার বানানোর দায়িত্ব পেয়েছে ভারতের টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস্ লিমিটেড’এর সঙ্গে মার্কিন সংস্থা বোয়িং’র যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হায়দরাবাদের টাটা বোয়িং অ্যারোস্পেস লিমিটেড(TBAL)। বুধবার প্রস্তুতকারক এই সংস্থা জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই একটি হেলিকপ্টার নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে অ্যারিজোনের মিসাতে। তবে চপারের বাইরের পরিকাঠামোটি তৈরি হবে হায়দরাবাদে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: MIG 29: কাশ্মীরে এবার নয়া যুদ্ধবিমান, ভারতের আকাশ এখন কতটা সুরক্ষিত?
উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রথম সারির আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টারগুলির মধ্যে সবচেয়ে অত্যাধুনিক হল ‘অ্যাপাচে’। অতুলনীয় প্রাণঘাতী ক্ষমতার পাশাপাশি এই কপ্টারে রয়েছে যুদ্ধের ময়দানে দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকার অপরিসীম ক্ষমতাও। প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংসেও এর জুড়ি মেলা ভার।
একাধিক অত্যাধুনিক বৈশিষ্টের কারণে ২০২০ সালে ই’মডেলের ২২টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার কেনে বায়ুসেনা। সেই সময়েই মার্কিন সংস্থা বোয়িং’র সঙ্গে আরও ৬টি কপ্টারের চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত। সেই চুক্তি এবার সফলের পথে। ভারতে বোয়িং’র প্রেসিডেন্ট সলিল গুপ্তা জানান, AH-64’র উন্নত প্রযুক্তি এবং প্রমাণিত কর্মক্ষমতা ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বে মোট ১৭টি দেশে রয়েছে এই কপ্টার। একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে পারে কপ্টারগুলি। এই মুহূর্তে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে রয়েছে ২২টি অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার। এর মধ্যে ১১টিতে রয়েছে শত্রু শিবিরে বিভীষিকা তৈরি করা লংবো ফায়ার কন্ট্রোল রাডার। রয়েছে হেলফায়ার মিসাইলও। ফলে নতুন এই কপ্টার হাতে পেলে পাকিস্তান এবং চিন উভয় দেশকেই মোক্ষম জবাব দিতে আর কোনও সমস্যা হবে না ভারতের বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।