নিউজ ডেস্ক: আরও
শক্তিশালী হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করলেন
ভারতীয় নৌজাহাজ আই এন এস বিন্ধ্যগিরি। মূলত ফ্রিগেট জাতীয় এই জাহাজ আধিকারিকভাবে ভারতীয় নৌসেনার জন্য কাজ করা শুরু করল। গার্ডেনরিচে প্রজেক্ট ১৭ আলফা’এর অন্তর্গত তৈরি হয় এই জাহাজ। গার্ডেনরিচে নির্মিত
এটি ষষ্ঠ জাহাজ। প্রথম পাঁচটি জাহাজ ২০১৯ থেকে ২০২২ এর মধ্যে
তৈরি হয় যা ভারতীয় নৌসেনায় বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে।
কর্ণাটকের বিন্ধ্যগিরি পর্বতের নামে এই জাহাজের নাম রাখা হয়েছে। এই
জাহাজে তিনটি রং ব্যবহার করা হয়েছে।
ছাই, কালো ও লাল রং ব্যবহার হয়েছে বিন্ধ্যগিরিতে। এই জাহাজের নকশা তৈরি করেছে ভারতীয় নৌসেনার ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো। অত্যাধুনিক অস্ত্রসজ্জায় সজ্জিত ভারতীয় নৌসেনার এই জাহাজ। এর
আগেও আইএনএস বিন্ধ্যগিরি নামে একটি জাহাজ ভারতীয় নৌসেনা
ব্যবহার হয়েছিল। ৩১ বছর
নৌবাহিনীতে কর্মরত থাকার পর ওই জাহাজকে ২০১২ সালে ডি কমিশন
করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারতে
জোর দিচ্ছেন। ভারতে নির্মিত একের পর এক জাহাজ
ও যুদ্ধাস্ত্র সেনায় ব্যবহার হচ্ছে। এমনকি
বহু বিদেশী সেনা ব্যবহার করছে ভারতীয় সমরাস্ত্র। শিবালিক ক্লাসের এই
ভারতীয় নৌ-বহরে স্টিল্থ ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও অত্যাধুনিক
সেন্সর ও প্লাটফর্ম মানেজমেন্ট সিস্টেম এই জাহাজে থাকবে। থাকবে গাইডেড মিসাইল টরপিডো ও এবং সর্বোচ্চ ২৮ নট গতিতে চলতে পারবে এই
জাহাজ। আকাশ,
মাটি, জলের ওপর ও জলের নিচে
যে কোন শত্রুকে নিকেশ করতে পারবে এই জাহাজ।
স্টিল্থ ফিচার ব্যবহার করায় এই জাহাজকে রাডার
সোনার ও ইনফ্রারেড পদ্ধতিতে ডিটেক্ট করা খুবই মুশকিল। চীনকে ইন্ডো–প্যাসিফিক অঞ্চলে
মোকাবিলা করতে নৌ বাহিনীর ক্ষমতা বাড়াচ্ছে ভারত।