নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের হাত ছাড়া শান্তিপুর
পঞ্চায়েত সমিতি। জেলার মধ্যে এই প্রথম পঞ্চায়েত সমিতি যা দখল করতে সক্ষম হল
বিজেপি। টানা তৃণমূল এক দশক এই পঞ্চায়েত সমিতি নিজেদের দখলে রাখার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে
ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পালা বদল হয় শান্তিপুরে।
শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের পর বিজেপির নবনিযুক্ত সভাপতি হলেন নৃপেন মন্ডল। যিনি হরিপুর ১০ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জয়লাভ করেছিলেন। অপরদিকে
সহকারি সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন চঞ্চল চক্রবর্তী, তিনি
ফুলিয়া টাউনশিপ ২৮ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জয়লাভ করেন। পঞ্চায়েত সমিতি
দখলের পর বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিজয় উল্লাস লক্ষ্য করা যায়।
এদিনের বোর্ড গঠন অনুষ্ঠানে উপস্থিত রানাঘাট
উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস, চাকদা
বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ সহ শতাধিক
বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করলেও
খোঁচা দিতে ছাড়লেন না শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী। তিনি বলে, “বিজেপি জিতেছে
ভাল কথা। কতদিন ধরে রাখতে পারে দেখব আমরা। অপারেষন লোটাস হলে অপারেশন টিএমসি হতে কতক্ষণ। অন্যদিকে বিজেপি সংসদ জগন্নাথ সরকারের দাবি, “পঞ্চায়েত
নির্বাচনে মানুষ যেভাবে বিজেপির প্রতি আস্থা রেখেছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে
তৃণমূলকে ভোটই দেবে না মানুষ”।