নিউজ ডেস্ক: তিহার জেলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি কাটাচ্ছে স্বামী ইয়াসিন মালিক। এদিকে, পাকিস্তানের মন্ত্রী হলেন তাঁর স্ত্রী মুশাল হুসেন মালিক। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী আনওয়ারুল-হক কাকরের নেতৃত্বাধীন সরকারের মানবাধিকার বিষয়ক দফতরের উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আইওয়ান-ই-সাদর এলাকায় রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি’র বাসভবনে বৃহস্পতিবার শপথও নিয়েছেন মুশাল। চলতি বছরের শেষে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত দেশ চালাবে অন্তর্বর্তী এই সরকার।
কাশ্মীরের বাসিন্দা তথা জেকেএলএফ(JKLF) নেতা ইয়াসিনকে ইউএপিএ’র একাধিক ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি শোনায় আদালত। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত, সন্ত্রাস ছড়ানো এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আদালতের শুনানির সময় সমস্ত অভিযোগ স্বীকারও করে নেয় ইয়াসিন। রায়ের পর তাঁকে তিহার জেলে পাঠানো হয়।
২০০৯ সালে ইসলামাবাদে বিয়ে হয় মুশাল আর ইয়াসিনের। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।পেশায় চিত্রশিল্পী স্ত্রী মুশাল কোনও অংশে কম নয়। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জেকেএলএফ সহ একাধিক সংগঠন এবং জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী মন্ত্রীসভায় মুশালের ঠাঁই নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে ভারতের কূটনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, জঙ্গিসংগঠনগুলিকে মদতের জন্যে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা পাকিস্তান। তবে তাতে খুব একটা মাথাব্যাথা নেই দেশের। আর তার প্রমাণ হল ইয়াসিনের সাজার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ট্যুইট। ২০২২ সালের ২৪ মে সাজা হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার। দিনটিকে ‘ভারতীয় গণতন্ত্র এবং বিচারব্যবস্থার কালো দিন’ হিসাবে মন্তব্য করে ট্যুইটারে শাহবাজ লেখেন, ‘ভারত ইয়াসিন মালিককে বন্দি করলেও তাঁর স্বাধীনতার চেতনাকে খর্ব করতে পারবে না’। পাশাপাশি, ‘বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী’ বলেও ইয়াসিনকে সম্বোধন করেন তিনি। এবার তাঁর স্ত্রীকে মন্ত্রীসভায় স্থান দিয়ে ভারতের প্রতি দেশের আগ্রাসন নীতিকে আরও একবার প্রমাণ করে দিল পাকিস্তান।