নিউজ ডেস্ক: নারী সম্মান রক্ষার্থে এবং লিঙ্গ বৈষম্য ঘোঁচাতে নয়া পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের। মামলার শুনানি চলাকালীন নারীদের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত একাধিক শব্দ ব্যবহারে নির্দেশিকা জারি করলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ৪০টি শব্দকে চিহ্নিত করে একটি ‘হ্যান্ডবুক’ প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে, শব্দগুলি আর ব্যবহার না করার পরামর্শও দেন প্রধান বিচারপতি।
অতিতের বদ্ধমূল কিছু ধারণার বর্শবর্তী হয়ে অনেক সময় লিঙ্গ সম্পর্কিত বেশকিছু আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেন আইনজীবী এবং বিচারপতিরা। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “দীর্ঘদিন ধরে মহিলাদের উদ্দেশ্যে এমনকিছু শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা যথাযথ নয়। শব্দগুলি একেবারেই অনৈতিক। অনেক সময় নিজেদের অজান্তে সেই সমস্ত লিঙ্গবৈষম্যমূলক শব্দ ব্যবহার করে ফেলেন বিচারকরাও।” বিষয়টিকে মাথায় রেখে এই হ্যান্ডবুক প্রকাশ করা হয়েছে বলেও জানান প্রধান বিচারপতি।
তবে পূর্বের কোনও রায় ভুল ছিল না। কিন্তু লিঙ্গ সম্পর্কিত বদ্ধমূল ধারণা বিচারব্যবস্থার উপর যে প্রভাব ফেলছে, তা বুঝতে সাহায্য করবে এই হ্যান্ডবুক। খুব শীঘ্রই এই নয়া নির্দেশিকা সুপ্রিম কোর্টের সরকারি ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলে জানান চন্দ্রচূড়।
নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ‘প্রস্টেটিউট’, ‘হোর’, ‘মিস্ট্রেস’, ‘হুকার’র মতো শব্দগুলি আর ব্যবহার করা যাবে না। সেইসঙ্গে যৌন হেনস্তা এবং ধর্ষণের ক্ষেত্রেও মহিলাদের সম্মানে আঘাত দেওয়া কোনও শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন না বিচারক বা আইনজীবী কেউই। কোনও মহিলার সতীত্বের বিবরণও দেওয়া যাবে না আদালতে। সম্বোধন করা যাবে না ভারতীয় বা পশ্চিমি হিসাবে। সকলকে কেবল মহিলা বলে সম্বোধন করতে হবে আদালতে। এছাড়া পরকীয়া, মেয়েলি, হরমোনাল প্রভৃতি শব্দও ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে উল্লেখ্য হ্যান্ডবুকে।