নিউজ ডেস্ক: বর্ষাকালে চুল পড়া ও খুসকির সমস্যা বেড়ে যায় অনেকখানি। বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচিয়েও লাভ হচ্ছে না। তাই ভরসা রাখতে হচ্ছে নামিদামি ব্র্যান্ডের অ্যান্টি হেয়ার ফল শ্যাম্পুর উপর। ব্যবহারের পর চুল পড়া কমার আশা রাখলেও ফল হতে পারে ঠিক উল্টো! অভিজ্ঞদের মতে চুল পড়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। দিনে ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু তার চেয়ে বেশি চুল পড়লে তখন বেশি যত্ন নিতে হয়। তবে অভিজ্ঞদের মতে আবহাওয়া ও শারীরিক কারণ ছাড়াও চুল পড়তে পারে। তার জন্য দায়ী শ্যাম্পুতে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক। তাই শ্যাম্পু রৃকেনার আগে অবশ্যই দেখে নেবেন এই তিন রাসায়নিক নেই তো?
সালফেট
সালফেট হল একপ্রকার সিন্থেটিক যৌগ যা সাধারণত পরিষ্কার করার কাজে লাগে। মাথার স্ক্যাল্পে জমে থাকা ধুলো বালি ময়লা ও অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করতে শ্যাম্পুতে সোডিয়াম লরেট সালফেট ও সোডিয়াম লরেথ সালফেট নামক দুটি যৌগ দেওয়া হয়। এটি থেকেই ফেনা হয় শ্যাম্পুতে। কিন্তু এই যৌগগুলি চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ক্ষতিকর। যা চুলের গোড়া আলগা করে দেয়। পরোক্ষ ভাবে যা চুল পড়া বাড়িয়ে তোলে।
সিলিকন
চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত সিল্কি ভাব ও আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য সিলিকন ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পুতে তো বটেই কন্ডিশনারেও এই রাসায়নিক দেওয়া হয়ে থাকে। এই রাসায়নিকটি চুলের গোড়ায় থেকে গেলে ফলিকলের মুখ বন্ধ করে দেয়। যা খুশকি বাড়িয়ে তোলে।
প্যারাবিন
প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে প্যারাবিন। দীর্ঘদিন বোতলবন্দি হয়ে থাকলে ব্যক্টেরিয়া বা ছত্রাক আক্রমণ হয়। সেটা রুখতেই এই রাসায়নিক দেওয়া হয়। তবে এটিও চুল পড়াকে ত্বরান্বিত করে। তাই চুল পড়া রুখতে চাইলে অবশ্যই এই সব রাসায়নিক বাদে শ্যাম্পু কিনুন।