নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের ঘটনা থেকে
শিক্ষা! অবশেষে নড়েচড়ে বসল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলেগুলিতে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বর্ধমান
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য আশীষ পানীগ্রাহী। তিনি জানিয়েছেন প্রত্যেক হোস্টেলের প্রত্যেক রুমে ক্রমাঙ্ক দেওয়া থাকবে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১১টি হোস্টেল আছেও বলে জানান তিনি।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের
জন্য সম্পূর্ণ আলাদাভাবে হোস্টেল বণ্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হস্টেলে বহিরাগত প্রবেশ রুখতে প্রতি হস্টেলের প্রতিটি
রুমের ক্রমাংক করা হবে। পাশাপাশি রুমগুলিতে কোন কোন ছাত্র
রয়েছে, তার তালিকা তৈরি করা হবে। সেই তালিকা নোটিসবোর্ডে
লাগানো হবে। সেই তালিকা হোস্টেলের স্টিওয়ার্ড, সুপার ও নিরাপত্তারক্ষীদের কাছেও থাকবে। সেই তালিকার বাইরে কারা
হস্টেলগুলিতে ঢুকছে আর বের হচ্ছে, তা
সময় সহ নথিভুক্ত করা হবে রেজিস্টার খাতায়।
একই সঙ্গে র্যাগিং প্রতিরোধ এবং
সিনিয়র ও সুপার সিনিয়রদের দাপট কমাতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম বর্ষের
পড়ুয়াদের সম্পূর্ণ আলাদা হোস্টেলে রাখার ব্যবস্থা করছে
কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য আশিষ পাণিগ্রাহীর
সভাপতিত্বে তড়িঘড়ি একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকেই এই সকল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়
বলে জানা গেছে।