নিউজ ডেস্ক: মৃতদের চিকিৎসা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ‘আয়ুষ্মান ভারত’ যোজনায়। সম্প্রতি সংস্থার রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছিল ক্রম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল(CAG)। সেই রিপোর্টের জবাবে পাল্টা সরব হল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
বিষয়টি নিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ‘মিথস ভার্সেস ফ্যাক্টস্’ নামক ওই বিজ্ঞপ্তিতে সিএজি’র রিপোর্টকে সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। জানিয়েছে, সাধারণত ভর্তির পর আয়ুষ্মান বিমার জন্যে আবেদন করে রোগীর আত্মীয়রা। বিমার অনুদান পেতে তিন দিন সময় লাগে। তারমধ্যে মারা যান অনেক রোগী। অথচ বিমায় তাদের ভর্তির তারিখটাই দেখানো হয়। সেকারণে মরে যাওয়া সত্ত্বেও দেখে মনে হয় তারা বিমার সুবিধা ভোগ করছেন। সুতরাং, সেক্ষেত্রে সিএজি’র রিপোর্টে যে দুর্নীতির কথা উল্লেখ রয়েছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
উল্লেখ্য, একই মহিলার নামে দুটি পৃথক হাসপাতালে বিমার অর্থ দেওয়া হয়েছে বলে রিপোর্টে জানায় সিএজি। সংস্থার সেই রিপোর্টের জবাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সন্তান প্রসবের ভর্তি হওয়া হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন থাকেন সেই মহিলা। তবে কোনও কারণে সন্তান অসুস্থ হলে এবং সেই হাসপাতালে চিকিৎসার সুবিধা না থাকলে তখন অন্য কোথাও স্থানান্তরিত করা হয় সদ্যজাতকে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় হাসপাতালে মায়ের আই কার্ডের নম্বরেই ভর্তি করানো হয় সদ্যজাতকে। আর সেকারণেই একটি নম্বরের ভিত্তিতে দুটি হাসপাতালে বিমার অর্থ প্রদান করা হয়। সুতরাং, সেখানেও কোনও আর্থিক বেনিয়মের সম্ভাবনা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, এর আগেও আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, কোটি কোটি টাকার গড়মিল করা হচ্ছে ভুয়ো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বানিয়ে। তবে এবার সেই সমস্ত অভিযোগের স্পষ্ট জবাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।