নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার যাত্রার সময় গোপন ব্যালট লুঠ, মনোনয়ন পর্বে
দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল দাঁড়ানো থেকে শুরু করে সবশেষে ভোটে জেতা প্রার্থীদের মধ্যে
বিভিন্ন পদের জন্য কলহ। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল যেন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে । তৃণমুলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
থামার নাম কোন ইঙ্গিত নেই। নবতম সংযোজন তরুণ জানা। তরুণ জানা তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি
জেলার সাধারণ সম্পাদক। তার ক্ষোভ নিষ্ঠার সঙ্গে দল করলে জায়গা হয় না। যারা ঝোলে অম্বলে
উঁচুতলাকে খুশি করতে পারেন তারাই ভাল জায়গা পান দলে। দলে সততা আজ অতীত।
সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তিনি প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন।
বললেন ‘নিষ্ঠার সঙ্গে দল করলে, তার কোন জায়গা নেই’। তবে কোন প্রেক্ষিতে তিনি বললেন
সেটা খোলসা করে বলেননি। জানা গেছে জেলা সভাধিপতি হওয়ার দৌড়ে তার নাম ছিল। শেষ বেলা
অবধি তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি।
সঙ্গে ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু মাঝ পথে জানতে পারেন তাকে সভাধিপতি করা হচ্ছে না। সভাধিপতি
হচ্ছেন উত্তম বারিক। এর পর মাঝ পথে গাড়ি ঘুরিয়ে সমর্থকদের নিয়ে ফিরে যান তিনি। জেলা
পরিষদ সভাধিপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। যদিও প্রকাশ্যে তরুণ বাবুর
সাফাই ‘নাম ছিল জানতাম। কিন্তু নিশ্চিত ছিলাম না। দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হয়েছে। এখন
নানান রকম এজেন্সি কাজ করে তো’।
যদিও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জেলার দাপুটে নেতা সৌমেন
মহাপাত্র বলেন, রাজ্য নেতৃত্ব থেকে যেমন নির্দেশ এসছে সেই মোতাবেক জেল পরিষদ সভাধিপতি
বাছা হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্ব উত্তম বারিককে সভাধিপতি করার প্রস্তাব দিয়েছিল বলেই জানি।
সভাধিপতি হয়ে উত্তম বাবু অবশ্য কৌশলী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তিনি অবশ্য প্রকাশ্যে
বলেন, ‘আমরা সকলেই তৃণমূলের সৈনিক। দল যেভাবে
চলতে বলবে সেভাবে চলব। তবে শুনেছি তরুণ বাবুর সেদিন নাকি শরীর খারাপ ছিল তাই তিনি আসতে
পারননি’। তবে ক্যামেরার সামনে তারা যাই বলুন না কেন দলের অন্দরে কলহ ও মান অভিমানের
পালা থামার ইঙ্গিত এখনই মিলছে না। এক্ষেত্রে বিজেপি নেতা অসীম মিশ্র বলেন, ‘ওদের দলে
কিভাবে টিকিট আর পদ পাওয়া যায় তা এখন সবাই জেনে গেছে। ওরা মারামারি করলে করুক আমাদের
কোন মাথাব্যথা নেই। সামনে দিন পড়ে আছে দেখুন না কি হয়’।