নিউজ ডেস্ক: আগামী ৩০ অগাস্ট থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৩’এর এশিয়া কাপ। হাতে সময় খুব অল্প। ইতিমধ্যেই দল ঘোষণা করে দিয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা। বাকি দেশগুলিও খুব শীঘ্রই এশিয়া কাপে তাদের দল ঘোষণা করতে চলেছে। জানা গিয়েছে, ২১ অগাস্ট দল ঘোষণা করবে বিসিসিআই(BCCI)ও। তবে তার আগে দলের দুই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বোর্ডের সিলেকশন কমিটি।
কেএল রাহুল এবং শ্রেয়স আইয়ার। চোটের কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে খেলা থেকে বিরত রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ দুই খেলোয়াড়। যদিও এশিয়া কাপে প্রায় পাক হয়ে গিয়েছে রাহুলের প্রত্যাবর্তন। সূত্রের খবর, ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি(NCA)র নেট প্র্যাকটিসে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে করেছেন উইকেট কিপিংও। আরে তাতে লোকেশের দলে ফেরা নিয়ে আশাবাদী অনেকে।
তবে বোর্ডের যাবতীয় চিন্তা শ্রেয়াসকে নিয়ে। পিঠে অস্ত্রোপচারের জন্যে দীর্ঘ চারমাস ধরে মাঠের বাইরে তিনি। খেলতে পারেননি আইপিএলেও। যদিও মনে করা হয়েছিল ৪-৫ মাসের মধ্যে সুস্থ হয়ে এশিয়া কাপে খেলতে নামবেন ৪ নম্বরের এই ব্যাটার। কিন্তু অ্যাকাডেমির অন্দরের খবর, নেট প্র্যাকটিসে চার-ছয় মারলেও, এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ হননি ডানহাতি এই ব্যাটার। অবশ্য আগামী কয়েকদিনে দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলে এনসিএ’তে ফিটনেসের প্রমাণ দেবেন শ্রেয়াস।
এশিয়া কাপে শ্রেয়স থাকতে না পারলে খানিকটা ব্যাকফুটে থাকবে ভারত। কারণ তাঁর জায়গায় ৪ নম্বরে কে খেলবে? তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি দল। ২০২৩’এর অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে তাঁর স্থানে টি-২০’র এক নম্বর প্লেয়ার সুর্যকুমার যাদবকে খেলায় ভারত। কিন্তু ৬ ইনিংসে ৪০’ও করতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে, শ্রেয়াসের জায়গায় খেলার জন্য ফিট নয় সঞ্জু স্যামসনও। তাই এশিয়া কাপে শ্রেয়সথাকছেন কি না! তা নিয়ে দ্বন্দ্বে বোর্ড নির্বাচক কমিটি।