নিউজ ডেস্ক: এবার খাস কলকাতায় চলল বুলডোজার। জোড়াবাগানে বিজেপি
কর্মীর দোকান ভাঙল পুরসভা। শাসক দলের বশ্যতা স্বীকার না করায় দোকান ভাঙা হয়েছে বলে
অভিযোগ ওই বিজেপি কর্মীর। আইন মেনে জবর দখল সরাতে ভাঙা হয়েছে দোকানের অংশ দাবি স্থানীয়
কাউন্সিলরের। দলীয় কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে এদিন কলকাতা পুরসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করতে গেলে
বাধা দেয় তৃণমূল কাউন্সিলররা। প্রতিবাদ জানালে
শাসক দলের কাউন্সিলররা বিজেপি কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে জোড়াবাগান এলাকায় সুনীল সিং নামে এক বিজেপি কর্মীর
দোকান ছিল। কোন নোটিশ ছাড়াই তাঁর দোকান ভাঙা হয়েছে বলে দাবি ওই বিজেপি কর্মীর। স্থানীয়
সুত্রে জানা গেছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর মন্ত্রী শশী পাঁজার অনুগামীদের জোর
জুলুম নিয়ে তিনি সরব হয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সুনীল। সেই অভিযোগ
তুলে নিতে তাঁর ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে দাবি ওই বিজেপি কর্মীর। অভিযোগ তুলে না নেওয়ায়
তার সঙ্গে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর তারকনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পুর আইন
মেনেই জবর দখল মুক্ত করা হয়েছে। নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কোন বিষয়
নেই’। বুলডোজার ব্যবহারে যোগী রাজ্যের সমালোচনা করা হলেও কলকাতায় বুলডোজারের ব্যবহার
নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কাউন্সিলর বলেন, ‘এর আগেও জবর দখল মুক্ত করার জন্য বহু বার বুলডোজার
চলেছে। এটা নতুন কিছু নয়’। প্রসঙ্গত জোড়াবাগানে বহু নির্মাণ ও দোকানের কিছু অংশ নিয়ে
জবরদখলের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এই প্রশ্নের অবশ্য
উত্তর মেলেনি। এদিন সুনীল সিংকে সঙ্গে নিয়ে পুরসভায় আসেন বিজেপি কাউন্সলিররা। বিজেপি
সাংবাদিক সম্মেলন করতে গেলে তেড়ে আসেন তৃণমূল কাউন্সিলরা। সাংবাদিক সম্মেলন গায়ের জোরে
মাঝ পথে থামিয়ে দেওয়া হয়। এবিষয়ে কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর সজল চট্টোপাধ্যায়
বলেন, ‘শাসক দল কথায় কথায় উত্তর প্রদেশের দিকে আঙুল তোলেন। অথচ দেখা যাচ্ছে উত্তর প্রদেশ
থেকে তারা অনুপ্রাণিত হয়েছে। এরাজ্যে গণতন্ত্র বলে আর কিছু নেই। সাংবাদিক সম্মেলন করতে
দিতে চায় না। সব প্রকাশ্যে চলে আসবে এই ভয়ে। মিথ্যে অভিযোগে শাসক দল বিজেপি কর্মীদের
টার্গেট করছে। এরাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কালিঘাটের দুটি বাড়িতেও বুলডোজার চলবে’।