নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে
সিবিআইয়ের করা গরু পাচার মামলার শুনানি চলছিল আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে। এই
মামলাটিকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছিল ইডি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আর্জি,
তাদের এবং সিবিআইয়ের করা মামলাটি এক জায়গায় আনা হোক এবং তা দিল্লির
রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে স্থানান্তরিত করা হোক। সেখানেই চলুক মামলার বিচারপ্রক্রিয়া।
ইডির এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ১৯ অগাস্ট অর্থাৎ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য
করেছিলেন। দিল্লিতে মামলা স্থানান্তর হলে সাক্ষ্যগ্রহণও দিল্লিতে হবে। অর্থাৎ
এখানকার সাক্ষীদের শুনানির দিনগুলিতে দিল্লি উড়ে যেতে হবে।
কেষ্টর আইনজীবী ইডির এই আবেদনের বিরোধিতা করবেন
বলে জানা গেছে। আইনজীবির দাবি, ‘‘গরু পাচারের যে মামলাটি
চলছে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে,
সেটি স্থানান্তরিত করার আবেদন জানানো হয়েছে। দিল্লির রাউস এভিনিউ
আদালতে যেখানে ইডির মামলা চলছে সেখানে স্থানান্তরিত হবে মামলাটি।’’ অনুব্রতর
আইনজীবীর আরও দাবি এই মামলা স্থানান্তর হয়ে দিল্লিতে চলে
গেলে সাক্ষীদের দিল্লিতে যেতে হবে সাক্ষ্য দিতে। সমস্ত নথিও দিল্লিতে নিয়ে যেতে
হবে। তাই আপত্তি জানানো হবে। সরকার মনে করলে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতকে ইডির বিশেষ
আদালত হিসেবেও ব্যবহার করতে পারে। যদি তাই হয়, তা হলেই
সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে অনেকটা। এখন দেখার আসানসোলের বিচারক কী রায় দেন বা
সরকার কী পদক্ষেপ করে।’’
গত বছরের ১১ আগস্ট সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন
অনুব্রত। চলতি বছরের মার্চ মাসে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় দিল্লিতে। সেখানেই বন্দী
রয়েছেন অনুব্রতর সঙ্গে রয়েছেন একদা তার সহকারী সায়গল। তিহাড়ে
রয়েছেন গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক এবং ধৃত
বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমার। পাশাপাশি কেষ্ট কন্যাও
বর্তমানে রয়েছেন তিহাড়ে। একাধিকবার তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। কয়েকদিন
আগে অনুব্রত মণ্ডল তার ভার্চুয়াল শুনানিতে সিবিআই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে আবেদন
করেছিলেন এই মামলা যেন দিল্লিতে না যায়।