নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরে দেশজুড়ে উর্ধ্বমুখী রান্নার গ্যাসের দাম। বিরোধীরা এই নিয়ে একাধিকবার কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাশাপাশি, নির্বাচনী প্রচারে কম দামে গ্যাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে কংগ্রেস। তবে সূত্রের খবর, এবার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও পেট্রল-ডিজেলের দাম কমানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র।
চলতি বছরের শেষে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গনা, মিজোরামে এবং ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচন। বছর ঘুরতেই লোকসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে গ্যাসের দামে রাশ টানা না হলে ভোটব্যাংকে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মত একাধিক জেলার বিজেপি নেতৃত্বর। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর ‘উজ্জ্বলা যোজনা’র আওতায় ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডার পায় প্রায় ৯.৫ কোটি মানুষ। কিন্তু ভর্তুকির ২০০ টাকাটা বাদ দিয়ে সিলিন্ডার পিছু ৯০০ টাকা দিতে হয় তাদের। দরিদ্র পরিবারগুলির কাছে যা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, রাজস্থানে মাত্র ৫০০ টাকায় সিলিন্ডার দিচ্ছে কংগ্রেস সরকার। মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় এলে সেখানেও একই দামে সিলিন্ডার দেবে সরকার বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হাত শিবির। এই পরিস্থিতিতে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ মোদী সরকার। সেকারণে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির বলে খবর।
অবশ্য লোকসভার আগে জ্বালানি তেলের দাম কমার বিষয়টি অনিশ্চিত বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। শনিবার দিল্লির এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, দেশে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে কেন্দ্র। তবে পুরো বিষয়টি সময় সাপেক্ষ। সুতরাং, লোকসভার আগেই এই বিষয় নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলেই জানিয়েছেন পুরী।
কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আরও জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে ধীরে ধীরে কমছে অপরিশোধিত তেলের দাম। তবে সেই তেল আমদানিতে খরচের পরিমাণ কমানো যায়নি। কিন্তু বেশকিছু বিজেপি শাসিত রাজ্যে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে পেট্রোপণ্যের ভ্যাট কমানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে গোটা দেশেই তা করা হবে বলে এদিন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, বেশকিছু দিন আগে পেট্রোপণ্যের উপর শুল্ক অনেকটাই কমিয়েছিল কেন্দ্র। তবে তারপর আর কমেনি জ্বালানির দাম। অবশ্য বাড়েওনি। পুরীর কথায়, ‘মোদীর সফল নীতির জন্যই এক জায়গায় স্থির রয়েছে পেট্রোপণ্যের দাম’।