নিউজ ডেস্ক: ২০২৪-এ ভারতের পাশাপাশি ভোট রয়েছে বাংলাদেশেও। তাই ভারতের মতো বাংলাদেশেও বেজে গিয়েছে ভোট দামামা। ইতিমধ্যে দিনকয়েক আগেই রাজপথে নেমে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-জামাত জোট। গত ২৯ জুলাই বাসে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে কিংবা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে ফের আলোচনায় খালেদা জিয়ার দল। এবার বিএনপি-জামাত জোটের এই আকস্মিক সক্রিয়তায় ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের নির্যাতিতা হিন্দু মহিলা পূর্ণিমা রানি শীল।
একটি সাক্ষাৎকারে নিজের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন ২০০১ সালে বিএনপি-জামাতের হাতে পাশবিকভাবে গণধর্ষণের শিকার সে দেশের এই সংখ্যালঘু মহিলা। তিনি বলেন, “জামাত-বিএনপির এই জঙ্গিপনা সেই অভিশপ্ত দিনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রকাশ্য রাজপথে এই সহিংসতা দেখে আমি অতীতের ভয়াবহ পরিস্থিতিকে ফের উপলব্ধি করতে পারছি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ফের বাংলাদেশে বিএনপি ও জামাত ক্ষমতায় ফিরে এলে আমার আর কোথাও যাওয়ার থাকবে না।” তাঁর আরও আশঙ্কা, যেহেতু এখনও ধরা পড়েনি অভিযুক্তেরা, এমনকি ক্ষমতায় ফিরলে ফের তাঁর ক্ষতি করার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে রেখেছে বিএনপি-জামাত।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে বাংলাদেশে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরই শুরু হয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর চরম অত্যাচার। আওয়ামি লীগের ভোট ব্যাঙ্ক বলে আরও বাড়ে প্রতিহিংসার মাত্রা। সেই সময় মাত্র ১৩ বছরের নাবালিকা ছিলেন পূর্ণিমা। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পূর্ণিমার বাড়িতে ৮ অক্টোবর রাতে হানা দেয় একযোগে বিএনপি-জামাত গুন্ডারা। পূর্ণিমা এবং তার মাকে পাট খেতে নিয়ে গিয়ে মায়ের সামনেই ২০ জন মিলে ধর্ষণ করতে থাকে ছোট্ট মেয়েটিকে। অসহায় পূর্ণিমার মা শুধু কাকুতি মিনতি করে ধর্ষকদের অনুরোধ করে বলেছিলেন,’ বাবারা, আমার মেয়েটা ছোট তোমরা একজন একজন করে এসো, নইলে ও মরে যাবে।’ ভোটের দামামা বাজতেই ২২ বছর পর ফের সেই ভয়াবহ রাতের স্মৃতি ফিরল পূর্ণিমার মনে।