নিউজ ডেস্ক: ভারতের আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় করতে তড়িঘড়ি লুনা-২৫ পাঠিয়েছিল রাশিয়া। গতকাল অবতরণের সময় চন্দ্রপৃষ্ঠে ভেঙে পড়তেই মুখ পুড়ল পুতিনের দেশের। আর লুনা-২৫-এর ব্যর্থতা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রাশিয়ার মহাকাশ মিশনে চিনের উপর অন্ধ-নির্ভরতাকেই দায়ী করলেন বিশেষজ্ঞের একাংশ। তাঁদের মতে, Luna-25-এর ডিজাইনেই ছিল বড়সড় গলদ, অবতরণের সময় অতিরক্ত তাপ সহ্য করার ক্ষমতাই ছিল না রুশ ল্যান্ডারের। অন্যদিকে, মহাকাশযানের ভিতরের অধিকাংশ যন্ত্রপাতিই ছিল চিনজাত। আর এই চিনা যন্ত্রপাতিই সফট ল্যান্ডিংয়ের আগে করে বসে গদ্দারি!
উল্লেখ্য, লুনা-২৫ মিশনের শুরু থেকেই রাশিয়ার উদ্যোগ দেখে অনুমান করা গিয়েছিল, চাঁদ জয়ের তুলনায় দেশটির বেশি উৎসাহ চন্দ্রযান-৩-এর আগে যেনতেনপ্রকারেণ অবতরণ। আর এই কাজ করতে গিয়ে লুনার গতি উত্তরোত্তর বাড়াতে থাকে রসকসমস আধিকারিকেরা। আর বারে বারে গতি পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে চিনের তৈরি কলকব্জা। এভাবেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙে পড়ে রাশিয়ার স্বপ্ন। মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী রিচার্ড পো বলেন,’চিনের প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি দিয়ে কোনওভাবেই উচ্চক্ষমতার মহাকাশযান নির্মাণ করা সম্ভব না। কারণ চিনের নিজস্ব কোনও প্রযুক্তি নেই। অন্যান্য দেশের প্রযুক্তি নকল করে চালায় তারা।’
প্রসঙ্গত, চিনা প্রযুক্তির ব্যর্থতার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এই মার্কিন বিজ্ঞানী প্রসঙ্গ তোলেন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের প্রথম দিকে চিরাচরিত চিন-নির্ভরতার জন্য সমস্যায় পড়েছিল রাশিয়া। চিনা যুদ্ধট্যাঙ্ক খুব সহজেই উড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল ইউক্রেন সেনা। এরপর সামরিক ক্ষেত্রে চিনের উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেওয়ার পর বর্তমানে যে সব অস্ত্রসামগ্রী ব্যবহার করছে রুশ, সেগুলি অনেক বেশি টেকসই এবং শক্তিশালীও।’