নিউজ ডেস্ক: র্যাগিংয়ের অভিযোগে তিন পড়ুয়াকে
বহিষ্কার করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দিন কয়েক আগে বিশ্বভারতীর
ভাষা ভবনের এক পড়ুয়া ইউজিসির অ্যান্টি র্যাগিং ফোরামের কাছে অভিযোগ জানায় তিন পড়ুয়া তাকে মানসিক
এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা করছে। পাশাপাশি বিশ্বভারতীর
উপাচার্য এবং প্রক্টরকে ইমেল মার্ফত
অভিযোগ জানায় ওই ছাত্র। এরপরেই নড়ে চড়ে বসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
পড়ুয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাতে উপাচার্য
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর নিচু বাংলো এলাকার বয়েজ হস্টেল
পরিদর্শন করেন। সেখান থেকেই ইউরোপিয়ান স্টাডিজ বিভাগের
অভিযুক্ত তিন ছাত্র শুভজ্যোতি সরকার,
অঙ্কিত কুমার, মনিশ কুমার মূলত এই তিনজনের
বিরুদ্ধেই ভাষাভবনের ওই ছাত্র র্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলে।
মঙ্গলবার ভোরে এদেরকে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। হস্টেল
থেকে তাদের সমস্ত জিনিসপত্র বিশ্বভারতীর মূল অফিসে নিয়ে আসা হয়। তারপরেই এদের
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করে এবং হস্টেল থেকে বের করে
দেয়। যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পরে অবশেষে হুঁশ ফিরল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের।
বিশ্বভারতীতে শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে এমনটা নয়, এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধেও
শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতীর ৬ জন
ছাত্রী ইতিমধ্যে অনশন শুরু করেছে। ওই অনশনরত
ছাত্রীদের দাবি, যতক্ষণ কর্তৃপক্ষ নৃতত্ব বিভাগের ওই
অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ না করছে
ততক্ষণ তাদের এই অনশন আন্দোলন চলতে থাকবে। আন্দোলনরত এক ছাত্রীর দাবি, আমরা এখানে খুব অল্পসংখ্যক পড়ুয়া আন্দোলন শুরু করেছি, কিন্তু বিশ্বভারতীর বহু ছাত্রী দিনের পর দিন এইভাবে অধ্যাপকদের কাছে
শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু আমাদের ধৈর্যের বাঁধ
ভেঙ্গে গেছে। এবার আমরা বিচার চাই। যদি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ঐ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোন প্রকার কড়া ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা আইন ও বিচার ব্যবস্থার দ্বারস্থ হব।