নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা মেইন লাইনে ফের
ট্রেন অবরোধ। এবার অবরোধ শিয়ালদা-কৃষ্ণনগর শাখার মদনপুর লাইনে। ১২ কোচের ট্রেনের
দাবিতে অবরোধ করেন নিত্যযাত্রী। ব্যস্ত
সময়ে এই অবরোধের জেরে
কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মেইন
লাইনের ট্রেন চলাচল। বিভিন্ন স্টেশনে বাড়তে থাকে ভিড়। যে
ট্রেনগুলি মদনপুর ছাড়িয়ে শিয়ালদার দিকে এগিয়ে গিয়েছিল,
সেগুলিতে বাড়তে থাকে নিত্যযাত্রীদের চাপ।
কার্যত বাদুর ঝোলা হয়ে জীবনের
ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে উঠতে
বাধ্য হন নিত্যযাত্রীরা।
মঙ্গলবার
সকালে নদিয়ার মদনপুর রেলস্টেশনে নেমে বিক্ষোভ দেখান নিত্যযাত্রীদের একাংশ। তাঁদের
দাবি, একাধিক ট্রেন মদনপুরে দাঁড়ায় না। তার জেরে সমস্যায় পড়তে হয়। তারই প্রতিবাদে
এদিন পথে নামেন তাঁরা। তবে একেবারে অফিস টাইমে এই বিক্ষোভের জেরে একের পর এক ট্রেন
দাঁড়িয়ে পড়ে শান্তিপুর, রানাঘাট-সহ একাধিক স্টেশনে। আপ ও ডাউন উভয় লাইনেই সমস্যায়
পড়েন যাত্রীরা। প্রায় ৪ ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে।
অবরোধকারীদের
মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন প্রত্যেকেরই নিত্যদিন ট্রেনে যাতায়াত করতে অসুবিধে হয়।
অনেকের গা হাত-পা কেটে যায়। রেল কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানানো হলেও তারা নিশ্চুপ
বলেই দাবি অবরোধকারীদের। এমনকি ৯ বগির বদলে ১২ বগির ট্রেন দিতে হবে বলেই সমস্ত
অবরোধকারীদের দাবি। গ্যালোপিং ট্রেনগুলিকেও মদনপুরে স্টপেজ দেওয়ার কথাও জানান
তারা। ৪০-৪৫ মিনিট পরে পরে ট্রেন, তার মধ্যে ৯ বগির ট্রেন হওয়ার কারণে যাত্রীদের
উঠতেও খুবই কষ্ট হয়। গরমে নাজেহাল অবস্থা অনেকেরই। তাই ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া এবং
বগিসংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে এই আন্দোলন চলে। চার ঘন্টা পর অবরোধকারীরা আন্দোলন
প্রত্যাহার করে নেয়।
মদনপুরে
ট্রেন অবরোধের জেরে শিয়ালদহ মেন
শাখায় কাঁকিনাড়া, নৈহাটি, শ্যামনগর, হালিশহর-সহ বিভিন্ন স্টেশনে
ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রতিটি ট্রেনই কমপক্ষে ৩০ মিনিট দেরিতে
চলছে। ডাউনে লাইন থেকেও আপ
লাইনের যাত্রীদের দুর্ভোগ বেশি হয় এদিন।