নিউজ ডেস্ক: ঝাড়গ্রাম ব্লকের কুমারী এলাকায়
একটি পরিত্যক্ত কুঁয়াতে পড়ে যায় একটি বাচ্চা হাতি। যার ফলে মা হাতিটি ব্যাপক চিৎকার করে ।সেই সঙ্গে ওই এলাকায় দাপিয়ে
বেড়ায়। গ্রামবাসীরা বুঝতে পারে কিছু একটা ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু মা হাতিটি কাউকে
কাছে ঘেষতে দেয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি বন দফতরকে জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বন দফতরের
কর্মীরা। কিন্তু বন দফতরের কর্মীদের
সাহায্য ছাড়াই প্রায় দু ঘন্টার চেষ্টায় সকাল ছটার সময় নিজের সন্তানকে কুঁয়ো থেকে উদ্ধার করে মা হাতিটি।
এরপর
রেললাইনের ধার দিয়ে বাচ্চা হাতিটিকে নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় মা হাতিটি। কুঁয়াটি
বেশি গভীর না থাকায় বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।তাই মা হাতিটি ওই কুঁয়াতে পড়ে
যাওয়া তার বাচ্চাটি কে উদ্ধার করে এলাকায় ছুটে বেড়ায়। সেই সঙ্গে ওই এলাকায়
থাকা একদল হাতি মাঠে গিয়ে সদ্য রোপন করা আমন ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি করেছে বলে
গ্রামবাসীরা জানান।
ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক
হাতি দাঁড়িয়ে বেড়াচ্ছে, যার ফলে চিন্তায় পড়েছেন
ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দারা। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম ব্লকের বন দপ্তরের ঝাড়গ্রাম
রেঞ্জের অন্তর্গত পুকুরিয়া বিটের অধীন বিভিন্ন এলাকায় ৭৩ টি হাতি খাবারের
সন্ধানে ঢুকে মাঠে গিয়ে ধান ও সবজি চাষের প্রচুর ক্ষতি করছে বলে গ্রামবাসীরা
জানান। যার ফলে বন বিভাগের পুকুরিয়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বন
দফতরের পক্ষ থেকে মাইকিং করে ওই এলাকার গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার জন্য আবেদন
জানানো হয়। সেই সঙ্গে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জঙ্গলে গ্রামবাসীদের যেতে নিষেধ করা
হয়েছে। সন্ধ্যে ছটা থেকে সকাল ছটা পর্যন্ত জঙ্গল এলাকার রাস্তায় যাতায়াত করতেও
নিষেধ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে বন দপ্তরের কর্মীরা হাতির দলের গতিবিধির উপর
নজরদারি শুরু করেছে। তবে যেভাবে হাতির দল এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে ফসলের ক্ষতি করছে
তাতে ওই এলাকার বাসিন্দারা প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সেই সঙ্গে হাতির হামলার
আশঙ্কায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন
এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল । খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে হাতির দল
তাণ্ডব শুরু করেছে। যার ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন
ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দারা।