নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও উত্তর পূর্ব রাজ্যের বিশেষ অধিকারের বিষয়ে হস্তক্ষেপে কোনও অভিপ্রায় নেই কেন্দ্রের। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ৩৭০ ধারা এবং ৩৫(এ) ধারা বাতিল সংক্রান্ত মামলায় স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই বক্তব্যের পরই অরুণাচল প্রদেশের এক রাজনীতিকের করা মামলার এদিন নিষ্পত্তি করে দেয় শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
অরুণাচলের রাজনীতিকের পক্ষে আইনজীবী মনিশ তিওয়ারি জানান, জম্মু-কাশ্মীরের মতো উত্তর-পূর্বের রাজ্যে ‘বিশেষ অধিকার’ দেওয়া রয়েছে। তবে উপত্যকায় যেভাবে বিশেষ অধিকার প্রত্যাহার করা হয়েছে, এই সমস্ত রাজ্যে তা প্রত্যাহার করা হলে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে এদিন জানান এই সিনিয়র আইনজীবী। ‘সামান্য ভুল হলেই মণিপুরের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে’ বলেও জানান আইনজীবী তিওয়ারি।
তাঁর সেই চিন্তার উত্তরে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, “আমাদেরকে প্রথমে ‘অস্থায়ী প্রদেশ’ এবং ‘বিশেষ অধিকার’এর মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে হবে। সংবিধানের ৩৭০ ধারার অন্তর্গত জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হলেও সেটি স্থায়ী ছিল না। অথচ উত্তর-পূর্ব সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যে সংবিধানের ৩৭১ ধারা এবং ষষ্ঠ তফসিলি অনুযায়ী ‘বিশেষ মর্যাদা’ রয়েছে।”
এরপরই সলিসিটর জেনারেল জানান ৩৭০ ধারার ৩ নম্বর উপধারা অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ইচ্ছে করলে ওই বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। ২০১৯ সালে সেই ক্ষমতাকে ব্যবহার করেই জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কেন্দ্র সরকার। তবে উত্তর-পূর্ব রাজ্যের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের কোনও অভিপ্রায় নেই কেন্দ্রের বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন সলিসিটর জেনারেল।
দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পরই মামলার নিষ্পত্তি করে দেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কল, বিচারপতি সঞ্জিব খান্না, বিচারপতি বিআর গাবাই এবং বিচারপতি সুর্য কান্তের সাংবিধানিক বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, দুটি ধারার মধ্যে কোনও সাদৃশ্যতা নেই। তাই উক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ৫ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ।