নিউজ ডেস্ক:
এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে আখের উৎপাদন কম হয়েছে। মূলত মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক, যেখানে
সর্বাধিক আখের চাষ হয়, সেখানে চলতি বছরে গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম বৃষ্টি
হয়েছে। আর এই কারণেই চিনির রফতানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত।
সরকারি সূত্রে
খবর, আগামী মরশুমে ভারত চিনির রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা (Export Ban) জারি করা হতে পারে।
পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে চিনির উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে, তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আগামী অক্টোবর
মাস থেকেই চিনির রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। এর আগে বিগত ৭ বছরে কখনই চিনির
রফতানিতে রাশ টানেনি ভারত। বিশেষজ্ঞদের মতে চিনির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে বিশ্বের
বাজারে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি-শর্করা জাতীয় পণ্যের দাম একধাক্কায় অনেকটাই
বাড়তে পারে।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে
দেশে চিনির উৎপাদন ৩.৩ শতাংশ কমতে পারে। এবারে ৩.১৭ কোটি টন চিনি উৎপাদন হওয়ার কথা।
এদিকে চলতি বছরই কেন্দ্রের তরফে মিলগুলিকে ৬.১ কোটি টন চিনি রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়।
গত মরশুমে রফতানির পরিমাণ ছিল ১.১ কোটি টন।
চিনির উৎপাদনে
ঘাটতির সম্ভাবনা দেখা দিতেই কেন্দ্রীয় সরকার দেশের অন্দরে চিনির চাহিদা ও ইথানল উৎপাদনকেই
প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, দেশের
চিনির চাহিদা পূরণ ও ইথানল উৎপাদনকেই আপাতত প্রাধান্য় দেওয়া হবে। দেশে যাতে চিনির দাম
যাতে না বাড়ে, তাই-ই প্রধান লক্ষ্য।
উল্লেখ্য,
এর আগে বাসমতী ছাড়া অন্য সমস্ত চালের রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপরে
পেঁয়াজ রফতানির উপরেও ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসানো হয়।