নিউজ ডেস্ক: ব্রিকস মঞ্চে আদৌ কী বৈঠক হবে মোদী-জিনপিং-এর? ১৫ তম ব্রিকস সম্মেলনের শুরু থেকেই এই নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটলেও দু’দেশের রাষ্ট্রনেতার পার্শ্ববৈঠক নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন তরজা। আলোচনার জন্যে কোন দেশ আগে আবেদন জানিয়েছিল, তা নিয়ে যুযুধান দুই দেশ। চিনের দাবি, বৈঠকের আর্জি এসেছিল ভারতের তরফে। ভারতের পাল্টা, আলোচনার জন্যে আবেদন জানিয়েছিল চিন।
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্যে সম্মেলনের গোড়া থেকে অনুরোধ জানিয়েছিল চিন। সেই অনুরোধের জবাবে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও বেজিংয়ের দাবি, আলোচনার জন্যে সম্মেলনের আগে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল ভারত। সম্মেলনের মধ্যে সেকারণে পার্শ্ববৈঠক সারেন দুই রাষ্ট্রনেতা।
ব্রিকস সম্মেলনের শেষে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশ সচিব বিনয় মোহন কয়াত্রা বলেন, “সম্মেলনের শেষে সমস্ত দেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবং জিনপিং-এর সঙ্গে আলোচনায় ভারত-চিন সীমান্তের পশ্চিমি এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের জন্যে বার্তা দিয়েছেন মোদী।”
কয়াত্রা জানান, দু’দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্যে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্ত চুক্তি সম্মান করতে না পারলে এই সম্পর্ক কখনও ভালো হবে না। আর এই বিষয়টি পার্শ্ববৈঠকে জিনপিংকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেও জানান ভারতের বিদেশ সচিব।
লাদাখের গালওয়ান প্রদেশে দু’বছরের বেশি সময় ধরে ভারত-চিন সংঘাত। এই সমস্যার সমাধানে দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার মেজর পর্যায়ের বৈঠক হলেও কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। এমনকি ব্রিকস সম্মেলনের কিছুদিন আগেই দুই দেশের সেনার শীর্ষ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয় লাদাখে। কিন্তু তাতেও মেলেনি সমাধান।
এদিকে, জি২০(G20) সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্যে সেপ্টেমবরে দিল্লি আসার কথা চিনা প্রেসিডেন্টের। এই পরিস্থিতিতে ব্রিকস-এর মঞ্চে দু’দেশের রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ঠিক কী আলোচনা হচ্ছে, সেদিকে তাকিয়ে ছিল আন্তর্জাতিক মহল। কথা যদিও হল। তবে কে আগে আলোচনার জন্যে আবেদন জানিয়েছিল, তাল কেটে গেল সেই প্রশ্নে।