নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ পরিশ্রম এবং বহু অপেক্ষার পর বুধবার সফল হয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো(ISRO)র তৈরি ‘চন্দ্রযান-৩’(Chandrayaan3)। দেশের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত আপামর দেশবাসী। উচ্ছ্বসিত ইসরোর বৈজ্ঞানিকরাও।
তবে সেই আনন্দে প্রত্যক্ষভাবে সামিল হতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের উন্নতি সাধনে ব্রিকস সম্মেলনের(BRICS Summit) জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলেন তিনি। শনিবার দেশে ফিরেই বড়সড় ঘোষণা করলেন সফল অভিযানের জন্য আনন্দিত মোদী। জানালেন, ল্যান্ডার ‘বিক্রম’এর অবতরণস্থলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শিবশক্তি’। পাশাপাশি, ‘চন্দ্রযান-২’(Chandrayaan2)র ল্যান্ডার যেখানে আছড়ে পড়েছিল সেই জায়গার নাম রাখা হয়েছে ‘তিরঙ্গা পয়েন্ট’।
এদিন গ্রিস থেকে ফিরেই বেঙ্গালুরুর ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় পৌঁছন মোদী। বিমানবন্দরের বাইরে সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। এরপর ইসরোর কার্যালয়ের পথে রওনা দেন তিনি। সেখানে গিয়ে চন্দ্রযান-৩’র সাফল্যে ইসরোর বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানান মোদী। অভিযানের সাফল্য নিয়ে কথা বলার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের প্রশংসায় তিনি বলেন, ‘জয় বিজ্ঞান জয় অনুসন্ধান’।
মোদী বলেন, “শিবশক্তি পয়েন্ট আমাদের অনুপ্রেরণা। তিরঙ্গা পয়েন্ট দেবে শিক্ষা। ২৩ অগাস্টের সেই মুহূর্ত কিছুতেই ভুলতে পারছি না। বারবার চোখের সামনে উঠে আসছে। মেক ইন ইন্ডিয়া পৌঁছে গেছে চাঁদে। কোনও ব্যর্থতা শেষ নয়।” এরপর মহিলা বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “চন্দ্রাভিযানে মহিলা বিজ্ঞানীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের পরিশ্রমকে কুর্নিশ। মুন মিশন চাঁদের রহস্য ভেদ করবে।”
২০১৯ সালে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরো। প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে সেদিন অঝোরে কেঁদেছিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তৎকালীন চেয়ারম্যান কে শিবন। কেঁদেছিলেন বিজ্ঞানীরাও। চার বছর পর চোখের জল মুছে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইসরো। ইতিহাস তৈরি করেছে দেশ।