নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের
পথে আরও আক ধাপ এগোল ভারতীয় নৌসেনা। নৌসেনাকে শক্তিশালী করতে একাধিক পদক্ষেপ করছে প্রতিরক্ষা
দপ্তর। নৌবাহিনীর হাতে আসছে একের পর এক যুদ্ধ জাহাজ। এবার নৌসেনা পেতে চলেছে পাঁচটি
‘ফ্লিট সাপোর্ট শিপ’। ইতিমধ্যেই হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ড লিমিটেডকে পাঁচটি ফ্লিট সাপোর্ট
শিপের বরাত দেওয়া হয়েছে। পাঁচটি জাহাজ তৈরি করতে খরচ পড়বে ১৯ হাজার কোটি টাকা।
জানেন কি কেন নৌবাহিনীর প্রয়োজন
এতগুলি ফ্লিট সাপোর্ট শিপ? ভারত মহাসাগরের চিনের স্ট্রিং অফ পার্লস পরিকল্পনাকে ব্যর্থ
করতে বাহিনীকে মজবুত করছে ভারতীয় নৌসেনা। এর আগে স্বদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি মাত্র একটি
এই ধরনের জাহাজ ছিল নৌসেনার কাছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একের পর এক উন্নত মানের ফ্রিগেট,
ডেস্ট্রয়ার, সাবমেরিন নিজেদের বাহিনীতে যোগ করছে নৌসেনা। নৌবাহিনীর জাহাজকে অতিরিক্ত
জ্বালানি, বাহিনীর জন্য খাবার এবং গোলাবারুদ সরবরাহ করে ফ্লিট সাপোর্ট শিপ। হিন্দুস্তান
শিপইয়ার্ড লিমিটেডের চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর হেমন্ত খত্রী বলেন, “
এই জাহাজে অ্যান্টি এয়ারক্রাফট
গান, অ্যান্টি সাবমেরিন ও অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম লাগানো থাকবে। ফলে যুদ্ধকালীন পরিস্থতিতে
মূল যুদ্ধ জাহারের বহরকে অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে এই জাহাজ। জানা গিয়েছে হিন্দুস্তান
শিপইয়ার্ড লিমিটেডকে জাহাজ তৈরি করতে প্রযুক্তিগত
সাহায্য করবে তুর্কির অ্যাানাদুলু শিপইয়ার্ড। এই জাহাজ ৪৪ হাজার টন মালবহনে সক্ষম হবে।
২৩০ মিটার লম্বা এই জাহাজগুলি ২৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ২২ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব
অতিক্রম করতে সক্ষম হবে। জাহাজের সর্বোচ্চ গতি হবে ৩৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। মুলত
চিনকে ভারত মহাসাগরে ও পাকিস্তানকে আরব সাগরে মোকাবিলা করতে এই পাঁচটি জাহাজ ভারতীয়
নৌসেনাকে বাড়তি সুবিধা প্রদান করবে।