নিউজ ডেস্ক: এবার নয়া লুকে দেখা যাবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে। ট্রেনের সুরক্ষা আরও জোরদার করা হচ্ছে। গেরুয়া-সাদা রঙের সেমি বুলেট ট্রেনটির ইঞ্জিন তৈরি হচ্ছে রাজ্যের চিত্তরঞ্জন রেলইঞ্জিন কারখানায়। প্রাথমিকভাবে চারটি ইঞ্জিন তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে।
এবার পুসপুল সিস্টেমে বন্দে ভারত চালাবে রেল। অর্থাৎ একটি ট্রেনে দুটি করে ইঞ্জিন থাকবে। একটি থাকবে সামনে। আর অন্যটি পিছনে। সামনের ইঞ্জিনটি টানবে আর পিছনের ইঞ্জিনটি ঠেলবে। এটাই হল পুসপুল সিস্টেম। ২৪ টি কামরা নিয়ে দৌড়াবে ট্রেনটি। এই ইঞ্জিনগুলো তৈরি হলেই তা চলে যাবে আইসিএফ রেলওয়ে কোচ তৈরির কারখানায়। সেখান থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনটি চালানো হবে। সেপ্টেম্বরেই ইঞ্জিনগুলি কারখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইঞ্জিনটির মধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সুরক্ষার উপর। লুকিং গ্লাস অনেক বড় করা হয়েছে। লোকো পাইলট যদি কোনও ভুল কিছু করে থাকেন তা বিশেষভাবে রেকর্ড হয়ে থাকবে সিস্টেমের মধ্যে। যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে তার পর্যালোচনা করা যাবে। প্লেনের মতো ব্ল্যাকবক্স থাকবে ইঞ্জিনে। থাকছে অত্যাধুনিক সিগনালিং ব্যবস্থা।
অবশ্য নতুন এই এক্সপ্রেসে জানালার ধারে লাল সবুজ পতাকা দেখানোর কোনও দরকার নেই। লোকো পাইলট নিজের কন্ট্রোল রুমে বসে মনিটরের মাধ্যমে বিশেষ লাইটের সাহায্যে সিগনালিং ব্যবস্থাকে কন্ট্রোল করতে পারবেন। স্টেশনের সঙ্গে পাইলটের যদি কথোপকথনে দেরি হয় তাহলে ইঞ্জিনটির অটোমেটিক ব্রেক লেগে যাবে। ইঞ্জিনসহ কোচে রয়েছে এলইডি আলোর ব্যবস্থাও। আর সবকিছুই কন্ট্রোল করা যাবে ইঞ্জিনের রুম থেকে বলে খবর।
সম্প্রতি চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্বে এসেছেন দেবীপ্রসাদ দাস। নতুন বন্দে ভারত প্রসঙ্গে তাঁর মত, এই ধরনের অত্যাধুনিক ইঞ্জিন ভারতীয় রেলের মান আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশাবাদী তিনি।